
ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবী প্রাণের এক অপূর্ব সমারোহ। বৈচিত্র্যই পৃথিবীর নানা ধরনের অজস্র প্রাণীকে এত রহস্যময় ও বিস্ময়কর করে তুলেছে। কিন্তু কিছু প্রাণী আছে যারা মানুষের মনে ভয়, আতঙ্ক আর বিস্ময় তৈরি করে। যাদের চেহারা, আচরণ, গতি, আর আক্রমণাত্মক স্বভাব আমাদের ভয় পাইয়ে তোলে।
নিচে এমন ১০টি প্রাণির তালিকা দেওয়া হলো:
১. মিশরীয় সো-স্কেল্ড ভাইপার
এই সাপটি খুব বিষাধর ও আক্রমণাত্মক। এটি এক ধরনের শিসের মতো শব্দ করে এবং দ্রুত শরীর নাড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এটি প্রধানত উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যায়।
২. আফ্রিকান হাউস স্নেক
এই সাপটি সাধারণত নিরীহ, তবে এর লম্বা ও সরু দেহ এবং ঘরের ভিতরে চুপিসারে চলাফেরা মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করে। যদিও এদের বিষ প্রাণঘাতী নয়, তবুও হঠাৎ সামনে পড়লে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
৩. রেড স্পিটিং কোবরা
এই প্রজাতির কোবরা সাপ দূর থেকে চোখে বিষ ছিটিয়ে দিতে পারে, যা অন্ধত্ব পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এর লাল রং ও হিংস্র আচরণ একে আরও ভয়ানক করে তোলে।
৪. বালিমাটিতে লুকানো বিচ্ছু (বিউরোয়িং স্করপিয়ন)
এরা বালির নিচে লুকিয়ে থেকে শিকার ধরে। এর হুলে এমন বিষ আছে যা বেশ ব্যথাদায়ক। আচরণে তেমন হিংস্র না হলেও প্রাণীটির হঠাৎ আবির্ভাব মানুষকে ভয় পাইয়ে তোলে।
৫. চিতা
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী। এর দেহ সুগঠিত ও শক্তিশালী, যা তাকে দুর্দান্ত শিকারি বানিয়ে তোলে। চিতা যদিও সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না, তবুও বন্য পরিবেশে এদের উপস্থিতি বেশ ভীতিকর।
৬. আরবিয়ান ক্যাট স্নেক
এই সাপটি দেখতে সাধারণ, তবে অত্যন্ত বিষধর। এর দেহের রং ও প্যাটার্ন পরিবেশের সাথে মিশে যায়, ফলে সহজে চোখে পড়ে না। হুমকির মুখে সাপটি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কামড় দিয়ে এর বিষ ছড়িয়ে দেয়।
৭. নোমাড স্করপিয়ন
বিপজ্জনক ও খুব বিষাক্ত এক ধরনের বিচ্ছু। এরা মরুভূমির কঠিন পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। এদের হুলের বিষ শরীরে মারাত্মক ব্যথা ও পেশীতে টান ধরায়।
৮. আমাজনের জায়ান্ট সেন্টিপিড (দৈত্যাকার শতপদী)
আমাজনের দৈত্যাকার সেন্টিপিড ট্যারান্টুলা এবং ছোট সাপসহ খেয়ে থাকে। যেকোনো প্রাণীকে এটি এর বিষ দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। আমাজনের দৈত্যাকার সেন্টিপিডগুলি বাদুড় শিকার করার জন্য গুহার উপরে উঠে নিচে ঝুলে থাকে। এরা খুব দ্রুত চলে এবং এদের কামড় খুব ব্যথাদায়ক, যাতে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। দেখতে গা ছমছমে এবং এর আচরণও বেশ ভয়ঙ্কর।
৯. ওসেলেটেড ইউরোমাস্টিক্স
সরীসৃপ এই প্রাণীটি দেখতে বড় গিরগিটির মতো, যার লেজ অসংখ্য কাঁটাযুক্ত। হুমকির মুখে এই প্রাণি তার শক্তিশালী লেজ দিয়ে আঘাত করে আত্মরক্ষা করে। আক্রমণাত্মক স্বভাবের কারণে ইউরোমাস্টিক্সকে বেশ ভয়ঙ্কর মনে হয়। এরা মূলত তৃণভোজী, তবে মাঝে মাঝে পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট প্রাণী, বিশেষ করে ছোট টিকটিকি খায়।
১০. স্পটেড (দাগযুক্ত) হায়েনা
প্রাণিজগতের সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী বলা হয় হায়েনাকে। হায়েনার এই প্রজাতিটি দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে। এদের রয়েছে বড় এবং অত্যন্ত শক্তিশালী চোয়াল। যদিও এরা অনেক সময় মৃত প্রাণী খায়, তবুও দলবদ্ধভাবে শিকার করার ক্ষমতা একে ভয়ঙ্কর করে তোলে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
রাকিব