ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৪০, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

.

জেলার পাগলা মসজিদের ১১টি দান সিন্দুকে এবার পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। দেশী টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রাও। শনিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা রয়েছে। আর ব্যাংকে রাখা টাকার লভ্যাংশ থেকে ২০২৪ সালে ক্যান্সার, ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি রোগ, প্যারালাইসিসসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৫২৯ জন দরিদ্র ও দুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল ৭টায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার, মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও সদরের ইউএনও এরশাদ মিয়া, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোস্তাক এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনার কাজ। এ
কাজে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও ছিলেন মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র-শিক্ষক, কিশোরগঞ্জ রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. আলী হারিসীসহ ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন। এ সময় পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
টাকা গণনা অবলোকন করতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ নানা শ্রেণি-পেশার উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।
সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। অনেক বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কিংবদন্তি আছে মসজিদটি গায়েবিভাবে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

প্যানেল

×