ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

ফুল ভাসিয়ে বিজুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফুল ভাসিয়ে বিজুর আনুষ্ঠানিকতা শুরু

.

তখনো ভালো করে আলো  ফোটেনি। ফুটে ওঠেনি সূর্যের পরিপূর্ণ রূপ। এরই মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে নদীর পাড়ে আসতে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা। ছোটরা আসে বাবা-মায়ের হাত ধরে। বছরের গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক দিন বলে কথা।  বৈসাবির প্রথম দিনে ফুল দিয়ে পূজা ও স্নান করে পবিত্র হওয়ার মাধ্যমেই শুরু হয় বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খুমী, খেয়াং সম্প্রদায়সহ ১১টি জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ শুরু হয়েছে। খবর পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি এবং নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙামাটি ও বান্দরবান।
খাগড়াছড়িতে নদীতে মা গঙ্গাদেবীর  উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করার মধ্য দিয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজু শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চাকমাদের বিজুর মূল আনুষ্ঠাকিতা। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ। পাহাড়ের উৎসব সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে
করছেন অনেকেই। উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
ফুল বিজুকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে চেঙ্গী নদীর নির্বারিত স্থানে ফুল ভাসাতে নদীর তীরে তরুণ-তরুণীদের ¯্রােত নামে। উৎসব উপভোগ করতে সকালে চেঙ্গী নদীর পাড়ে উপস্থিত হন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ সামরিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চাকমা ও ত্রিপুরারা উৎসবের প্রথম দিনে বন পাহাড় থেকে সংগৃহীত ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। সবার মঙ্গল কামনায় কলা পাতা করে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে ফুল উৎসর্গ করে পুরাতন বছরের গ্লানি ভুলে নতুন বছরের শুভ কামনা করে। প্রত্যাশা করা হয় পাহাড়ে হানাহানি ভুলে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে আসবে শান্তি ও সম্প্রীতি। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিণত হয় সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলায়। এদিকে এই উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িতে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। বলা যায় উৎসবে রঙীন পার্বত্য চট্টগ্রাম। এই ধরনের উদ্যোগ পাহাড়ে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার  মো. আরেফিন জুয়েল জানান   বৈসাবি উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ঘিরে  পর্যটকে মুখর হবে খাগড়াছড়ি। তাই উৎসব ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
আজ খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা ও  জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালি। এ উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায়।  চেঙ্গী নদীতে চাকমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ফুল উৎসর্গদের শামিল হয়েছেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও। বৈসাবি উৎসব দেখতে এসেছে অনেক পর্যটকও।
জানা যায়, ফুল বিজু, হারি  বৈসুর দিন ভোর থেকে বাড়ির পাশের নদী ও খালে গিয়ে প্রার্থনারত হয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানায় ত্রিপুরা ও  চাকমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী নর-নারী। তবে এখন ফুল বিজু শুধু চাকমা সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নেই। মারমা ও স্থানীয় বাঙালিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে অংশ নিচ্ছেন ফুল বিজু ও হারি  বৈসুতে। ফুল নিবেদন শেষে তরুণ তরুণীরা মেতে ওঠেন আনন্দ উৎসবে। নদীতে স্নান শেষে বাড়ি গিয়ে বায়োজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করে ছোটরা। ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাজসজ্জা শেষে প্রস্তুতি চলে অতিথি অ্যাপায়নের। ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের চলছে বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলাও।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার বলেন, পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব  বৈসাবিতে চাকমাদের ফুল বিজু উপলক্ষে নদীতে ফুল দিয়ে সারিবদ্ধভাবে প্রণাম জানাচ্ছে। এমন দৃশ্য পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বান্দরবান ॥ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ফুল দিয়ে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর পূজা এবং ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু-বিষু। শনিবার সকাল ৭টায় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষজন জলবুদ্ধ ও মা-গঙ্গাদেবীকে ফুল নিবেদনের মাধ্যমে বিজু ও বিষু উৎসবের সূচনা করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শনিবার ভোর থেকেই নারী, পুরুষ ও শিশুরা বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কলাপাতায় সাজানো ফুল নিয়ে সাঙ্গু নদীর তীরে জড়ো হন। এ ছাড়া মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফুল অর্পণ করে অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। সেইসঙ্গে প্রার্থনা করেন,  অতীতের সব দুঃখ-কষ্ট যেন নদীর স্রোতের মতো ভেসে যায় এবং ভবিষ্যৎ দিনগুলো শান্তি ও সমৃদ্ধিতে কাটে।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি জনপদে বইছে আনন্দের আমেজ। এ ছাড়া বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খুমী, খেয়াং সম্প্রদায়সহ ১১টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব।
অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির তথ্য মতে, বিজু-বৈসু-বিষু উপলক্ষে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত নানা কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে, ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টা থেকে রাত ব্যাপী রেইচা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা টুর্নামেন্ট। মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল সাংগ্রাই র‌্যালি ও বয়স্ক পূজা ১৪ এপ্রিল বান্দরবানের বৌদ্ধ বিচারগুলোতে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, রাতে পিঠা তৈরি, ১৫ এপ্রিল রাজার মাঠে  বলি খেলা। ১৬ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল রাজার মাঠে কাক্সিক্ষত মারমা সম্প্রদায়ের রিলংবোই (মৈত্রী পানি বর্ষণ খেলা)। এ ছাড়া বান্দরবানের সাত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে মুখর থাকবে বলে জানা গেছে।
রাঙামাটি ॥ কাপ্তাই হ্রদের ফটিক জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। শনিবার  ভোরে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদীতে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে ওই জনগোষ্ঠীর মানুষ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে।
পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব তিন দিনব্যাপী হয়ে থাকে। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে অর্থাৎ প্রথম দিনকে বলে ফুল বিজু,  চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলে মূল বিজু আর পরের দিকে বলে গজ্জাপজ্জা। ফুল বিজুতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের তীরে পাহাড়ি নারী পুরুষ ও শিশুরা বাহারি রঙের ঐতিহ্যবাহী পিনন-হাদি আর ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ফুল নিবেদন করেছেন।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারের পূর্ব ঘাটে সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সকল বয়সের পাহাড়ি নারী-পুরুষরা ফুল নিবেদন করেছেন। একইসঙ্গে শহরের গর্জনতলী, কেরানি পাহাড়, আসামবস্তিসহ জেলার দশ উপজেলার পাহাড়ি পল্লীর  চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা এবং তঞ্চঙ্গ্যা জাতিগোষ্ঠীর মানুষও  হ্রদে, নদী ও ঝিরির স্বচ্ছ পানিতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল নিবেদন করেছেন।
পুরোনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ও গ্লানি দূর করে নতুন বছর যাতে সুখ শান্তিতে ভরে ওঠে এই বাসনায় পানিতে ফুল নিবেদন করেছেন। রেণু বালা চাকমা বলেন, ‘বিজু আমাদের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের প্রধান ঐতিহ্যবাহী উৎসব। আজ হচ্ছে বিজুর প্রথম দিন ফুল বিজু। ফুল বিজুতে আমরা পানিতে ফুল নিবেদন করে মা গঙ্গা দেবীর কাছে আমরা সকলে প্রার্থনা করি, পুরোনো বছরের সব দুঃখ, কষ্ট ও সব গ্লানি দূর করে নতুন বছর যাতে  সুখে কাটাতে পারি’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘বিজু মানে চেতনা, বিজু মানে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। পুরাতন বছরের গ্লানি, দুঃখ, কষ্টকে পেছনে ফেলে নতুন বছরের আশা রাখব, এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি। সকলে মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি। আমরা এই কামনা করি’।
প্রসঙ্গত; ফুলবিজুর দিনে ঝুল দিয়ে ঘর সাজানোও একটা ঐতিহ্য। সঙ্গে থাকে নিমপাতা। প্রতিটি বাড়িকে পরিষ্কার পরিছন্ন করে ফুলবিজুর দিনে ঘর সাজানো হয়, বুদ্ধকে পূজা করা হয়। ফুলবিজুর দিন ভোরে উঠে স্নান করার একটা রীতি প্রচলিত আছে। বিশ্বাস যে আগে স্নান করবে সে আগে বিজুগুলো পাবে। আসলে এটি বিজুর মতো একটি সামাজিক উৎসবে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর পর  চৈত্র মাসের      শেষ দিনকে চাকমারা বিজু বলে। মূল বিজুর দিনে নানা ধরণের খাবারে আয়োজন করা হয়। এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাত বাড়ির পাজন খাওয়ার রীতি প্রচলন আছে। আসলে এটা সামাজিকতার শিক্ষা  দেয়।
বিজুর দিনে প্রধান খাবার: পাজন, জগরা আর তরমুজ। বিজুর দিনের মূল খাবার হলো পাজন। পাজন হলো বহু সবজি এবং শাক মিশ্রিত একটা খাবার। এই পাজনে সর্বনিম্ন ২২ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ পদের সবজি মেশানো হয়। বিশ্বাস সারা বছর যেহেতু বিভিন্ন পদের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাই বছরের শেষদিন বিজুতে এসব তিতা, মিঠা খাবার খেয়ে শরীরে গ্রহণযোগ্যতা  তৈরি করা।
বিজুর দিনে পাজনে  দেওয়ার জন্য আগের দিনই আম, কাঁঠাল পেরে রাখা হয়। এবং চাকমারা আম নিয়ে একটা ব্রত মানে সেটা হলো বিজুর আগে আম না খাওয়া। আসলে এর পেছেনে মূলত : দুটো কারণ জড়িত। সাধারণত বিজুর আগে আম বড় হয় না/খাওয়ার উপযোগী হয় না। বিজুর দিন পাজনে আম মিশিয়ে রান্না করা হয় এবং সেটা প্রথমে সাধারণত বুদ্ধকে দেওয়া হয় এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের  দেওয়া হয়। তাই বিজুর আগে আম না খাওয়ার ব্রত মানে। গাছের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এর জন্য বিজুর দিন  কোনো ধরনের আম, কাঁঠাল পারা হয় না। ফুল বিজু দিনের মতোই বিজুর দিনও সবুজ গাছের নিচে বাতি জ্বালিয়ে গাছের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এবং পরের দিন নুও বজর। অর্থাৎ নতুন বছর। চাকমারা এ দিনকে চাকমা ভাষায় গজ্জ্যেপজ্জ্যে দিন বলে। অর্থ্যাৎ অবসরের দিন এবং সেইসঙ্গে নতুন করে উজ্জীবিত হওয়ার দিনও।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘ বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে, যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘ বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘ বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।
চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের পাশিপাশি তঞ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃজনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতিবছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে  ‘ বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।

প্যানেল

×