
ছবি: সংগৃহীত
কোনো একটি খবর, ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কেন হঠাৎই লাখ লাখ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে—আর অন্যগুলো কোনো সাড়া না ফেলেই হারিয়ে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক—জোনা বার্গার এবং ক্যাথরিন এল. মিলকম্যান। তাঁদের গবেষণাটি কনটেন্ট নির্মাতা, ব্র্যান্ড, এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্যও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
প্রায় ৭,০০০টি নিউ ইয়র্ক টাইমসের আর্টিকেলের ওপর গবেষণা করে তাঁরা দেখিয়েছেন—অনুভূতি বা ইমোশন-ই নির্ধারণ করে একটি কনটেন্ট কতটা শেয়ার হবে। তবে শুধু ইতিবাচক বা নেতিবাচক আবেগ নয়, ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে উচ্চ উদ্দীপনামূলক আবেগ।
গবেষণার মূল খুঁটিনাটি:
-
ইতিবাচক কনটেন্ট সাধারণভাবে নেতিবাচক কনটেন্টের চেয়ে বেশি ভাইরাল হয়।
-
বিস্ময়—যেমন কোনো অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা—সবচেয়ে বেশি শেয়ার হওয়া আবেগ।
-
রাগ ও উদ্বেগ (নেতিবাচক হলেও) কনটেন্টকে ভাইরাল করতে সাহায্য করে, কারণ এগুলো মানুষকে উদ্দীপ্ত করে তোলে।
-
দুঃখবোধ কনটেন্টকে কম শেয়ারযোগ্য করে তোলে।
-
প্রয়োজনীয় তথ্য, চমকপ্রদ ঘটনা বা মজার কিছু—এই উপাদানগুলোও ভাইরাল হবার সম্ভাবনা বাড়ায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একটি খবর লিখেন, ভিডিও বানান, কিংবা কোনো অনলাইন ক্যাম্পেইন চালান—তাহলে কনটেন্টটি যেন কোনো না কোনো উদ্দীপনামূলক আবেগ জাগিয়ে তোলে, তা নিশ্চিত করুন। হতে পারে সেটা কোনো বীরত্বগাথা, সামাজিক অবিচার, অথবা কোনো বিজ্ঞানসাফল্যের গল্প—কিন্তু আবেগটাই হবে চালিকাশক্তি।
যেখানে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে, সেখানে এই মানসিকতাভিত্তিক ধারণাটি বুঝে কনটেন্ট তৈরি করাটা হতে পারে মিলিয়ন ভিউ পাওয়ার চাবিকাঠি।
“আবেগ শুধু অনুভব করার জন্য নয়—এটা মানুষকে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে,”—বলেছেন গবেষক জোনা বার্গার। আর অনলাইনে সেই কাজটি হলো—শেয়ার করা।
এই গবেষণা সংবাদ, বিজ্ঞাপন কিংবা সচেতনতামূলক প্রচারণা—সব ক্ষেত্রেই নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।
সূত্র: https://jonahberger.com/wp-content/uploads/2013/02/ViralityB.pdf
আবীর