
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিনই আকাশে অসংখ্য পাখি উড়তে দেখা যায়। আকাশে উড়ন্ত এই পাখিদের নিয়ে ভেবেছেন কখনো? তাদের জীবন-যাপন পদ্ধতি নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়েছে কখনো? জানেন কি পৃথিবীতে এমন কিছু বিস্ময়কর পাখি রয়েছে, যারা উড়ন্ত অবস্থায় ঘুমায়। এই আশ্চর্য ক্ষমতার মাধ্যমে তারা বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে এবং অবিরাম পরিযায়ন করতে সক্ষম হয়। এমন কয়েকটি পাখি সম্পর্কে জানা যাবে নিচের আলোচনায়।
অ্যালবাট্রস
সমুদ্রের উপর মাসের পর মাস গ্লাইড করা এই পাখি 'ইউনিহেমিস্ফেরিক স্লিপ'-এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের একটা অংশকে বিশ্রাম দেয়, আর অন্য অংশকে সচেতন রাখে। এভাবে মস্তিষ্ককে দুই অংশে ভাগ করে তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যার ফলে তারা দীর্ঘ সময় আকাশে টিকে থাকতে পারে।
আর্কটিক টার্ন
পৃথিবীর দীর্ঘতম পরিযায়ী পাখি হিসেবে আর্কটিক টার্ন মেরু থেকে মেরু পর্যন্ত ভ্রমণ করে। তাদের এই বিশাল যাত্রাপথের শক্তি ধরে রাখতে উড়ন্ত অবস্থায় সাময়িক ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বার-টেইলড গডউইট
রেকর্ডভঙ্গকারী পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিরাম উড়ানের এই পাখি ৭০০০ মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। তারা আকাশে মাইক্রো-স্লিপ নিয়ে ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করে।
ফ্রিগেটবার্ড
ফ্রিগেট পাখি সপ্তাহের পর সপ্তাহ আকাশে উড়তে সক্ষম। তারা স্বল্প ঘুমের মাধ্যমে বিশ্রাম করে। যার ফলে দীর্ঘ ভ্রমণ সম্ভব হয়। কোনো জলাভূমির উপরে থাকলে তারা সেখানেই আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় ঘুমায়। বিশ্রামের জন্য তাদের স্থলভূমিতে আসার প্রয়োজন পড়ে না।
গ্রেট স্নাইপ
হাজার হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখা এই পাখি ক্লান্তি এড়াতে মাঝে মাঝে ছোট-খাটো বিশ্রাম নেয়। যেটা সম্পন্ন হয় উড়ন্ত অবস্থায় ঘুমের মাধ্যমে। এটি তাদের দীর্ঘ সময় আকাশে স্থায়ী থাকতে সাহায্য করে।
নর্দান হুইটিয়ার
মহাদেশ পাড়ি দেওয়ার পথে এই পাখি মাঝে মাঝে ঝটিকা ঘুম দেয়, যা তাদের বিশাল মরুভূমি ও সমুদ্র অতিক্রম করতে সহায়তা করে।
স্যান্ডপাইপার
এই প্রজাতির পাখি সমুদ্রের উপর দিয়ে ওড়ার সময় মাঝে মধ্যে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে ঘুমিয়ে নেয়। তাদের পরিযায়নের দক্ষতা এই বিশেষ আচরণের উপর নির্ভর করে।
বার্ন স্ব্যালো
অন্যদের মতো দীর্ঘ ভ্রমণকারী বার্ন স্বালো পাখিটিও উড়ন্ত অবস্থায় সাময়িক ঘুমিয়ে নিয়ে শক্তি ধরে রাখে, যা তাদের যাত্রাপথের ক্লান্তি এড়াতে সাহায্য করে।
উল্লেখিত পাখিগুলো প্রাকৃতিক বিবর্তনের এক অনন্য উদাহরণ। তাদের প্রতিভা শুধু বিস্ময়করই নয়, বরং মানবজাতির গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকও উন্মোচন করে।
সূত্র : ই টাইমস
আরশি