
ছবি: সংগৃহীত
আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, তবে এটি শিশুদের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে। ফোনের প্রতি বাড়তি আসক্তি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে দৃষ্টির সমস্যা, ঘাড়ের ব্যথা এবং সামাজিক দক্ষতার অভাব দেখা দিচ্ছে। তাহলে, বাবা-মায়েরা কীভাবে তাদের সন্তানদের ফোনের আসক্তি কমাতে সাহায্য করতে পারেন?
ফোন আসক্তির কারণ
শিশুরা খুব ছোট বয়সে মোবাইল ডিভাইসের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং অনেক বাবা-মা শিশুদের শান্ত করার জন্য ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, যা তাদের ফোনের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। সামাজিক চাপও একটি বড় কারণ, যেমন স্কুল বা বন্ধুমহলে অন্যান্য শিশুদের ফোন ব্যবহার দেখে তারা নিজেদেরও ফোন ব্যবহার করতে উৎসাহিত হয়। অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার শিশুদের মুখোমুখি যোগাযোগ এবং মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
ফোন আসক্তি কমানোর ৫টি টিপস
১. পিতামাতার মনিটরিং
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সন্তানের ফোন ব্যবহারের সময় এবং কন্টেন্ট মনিটর করুন, যাতে তারা নিরাপদে অনলাইন থাকে।
২. ফোন ব্যবহারের নিয়ম নির্ধারণ
ফোন ব্যবহারের জন্য পরিষ্কার নিয়ম তৈরি করুন, যেমন দৈনিক সময়সীমা নির্ধারণ এবং খাবারের সময় বা শোয়ার আগে ফোন না ব্যবহার করা।
৩. উপকারী ব্যবহারের শিক্ষাদান
শিশুদের বুঝিয়ে দিন যে ফোন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং শিক্ষামূলক এবং সৃজনশীল কার্যকলাপের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
৪. বাবা-মায়েরা তাদের ফোন ব্যবহারের সময় কমান
সন্তানদের সামনে নিজের ফোন ব্যবহার কমান, যাতে তারা আপনার ভালো উদাহরণ অনুসরণ করতে শিখে।
৫. অন্যান্য আগ্রহের প্রতি উৎসাহিত করা
সন্তানদের খেলাধুলা, সঙ্গীত বা শিল্পকলা নিয়ে আগ্রহী করার চেষ্টা করুন, যাতে তারা ফোনের প্রতি নির্ভরশীলতা কমায়।
ফোন ব্যবহারের সময় কমানোর উপকারিতা
-
পারিবারিক সময় বৃদ্ধি: ফোনের ব্যবহারের সময় কমালে পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত হয় এবং পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো যায়।
-
চোখের সুরক্ষা: সঠিকভাবে ফোন ব্যবহার করলে দৃষ্টির সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
-
অনলাইন নিরাপত্তা: ফোনের ব্যবহার সীমিত করলে শিশুদের অনলাইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক বা ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের ফোনের আসক্তি কমাতে সাহায্য করতে পারেন এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারেন।
সূত্র: https://www.smartone.com/en/mobile-service-plans/network-for-kids/Tips-to-Help-Break-Phone-Addiction.jsp
আবীর