
ঈদে শুধু নিজেদের কেনাকাটা নয়, ঘর সাজানোর জন্যেও সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন। রুচিভেদে একেকজনের সাজসজ্জা একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ সাজায় খুব ভারি শো-পিস দিয়ে, কেউ খুব হালকা কিছু জিনিস দিয়ে, কেউ গাছ কেউ আবার পুরনো জিনিসই ঘরের এদিক সেদিক করে নতুন একটি লুক দেওয়ার চেষ্টা করেন। চাইলে আপনি হালকা মায়াবি আলো দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন।
১. প্রবেশ পথ বা সিঁড়ি ঘর: বাসায় মেহমান এলে প্রথমেই চোখে পড়বে সিঁড়ির সঙ্গের প্রবেশ পথটি। কিছু বড় গাছ রাখতে পারেন দরজার সামনে। জুতা রাখার আলমারিতে জুতাগুলো গুছিয়ে রেখে উপরে ছোট গাছ বা মাটির শো-পিস রাখতে পারেন। দরজায় দিয়ে দিন একটি রঙিন পাপোস। টানাতে পারেন ওয়াল হ্যাঙ্গিংও।
২. ডাইনিং স্পেস: খাবারের এই জায়গাটি পরিচ্ছন্ন রাখুন। টেবিলে হালকা রঙের ম্যাট বিছিয়ে উপরে প্লাস্টিক বা পাটের রঙিন রানার বিছিয়ে দিতে পারেন। খাবার সাজানোর জন্যে সুন্দর ভিন্ন আঙ্গিকের পাত্র ব্যবহার করুন। এটি মেহমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। টেবিলের উপরে ছোট ছোট ল্যাম্প শ্যাড ঝুলিয়ে দিতে পারেন। হাত ধোয়ার বেসিনের আয়নায় লতানো গাছ ঝুলিয়ে দিতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের ওপর ছোট সাকুলেন্টস বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এছাড়া মানি প্ল্যান্ট বা পথোস টেবিলের একপাশে রাখা যেতে পারে, যা ঘরকে শীতল এবং সবুজ রাখবে।
৩. ড্রয়িং বা লিভিং রুম: ঈদ বা যে কোনো বিশেষ দিনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই রুমটি। খুব সাধারণ করে সাজিয়ে নিতে পারেন রুমটি। মৃদু আলো ছড়িয়ে দিন। টি টেবিলটায় সুন্দর একটি রানার বিছিয়ে সেখানেও ছোট গাছ বা এ্যান্টিকের শো পিস রাখতে পারেন। জানালায় দিতে পারেন পাতলা নেটের পর্দা। ভারি পর্দাগুলো দুই পাশে টেনে রেখে হালকা পর্দাগুলো ছড়িয়ে দিন। এতে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে, রুমটাও ঠান্ডা থাকবে। মেঝেতে ঠিক মধ্যখানে দিতে পারেন আকর্ষণীয় একটি কার্পেট বা শতরঞ্জি। সোফা বা ম্যাট্রেসের উপর রাখতে পারেন বিভিন্ন নকশার কুশন। লিভিং রুম বড় এবং আলো-বাতাস বেশি থাকে বিধায় বড় গাছ রাখা যেতে পারে। রাবার প্ল্যান্ট বা মোনস্টেরা লিভিং রুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে এবং একটি আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে। কর্নারে পাটের তৈরি দোলনা রাখতে পারেন। দিতে পারেন বাঁশ, বেত বা পছন্দসই ডিজাইনের ল্যাম্পশেডও। সাঁঝের আলোয় এক মায়াবি পরিবেশ তৈরি করবে।
৪. বেডরুম: হ্যান্ড পেইন্ট বা এপ্লিকের ম্যাচিং করা পর্দা, বেড কভার রাখতে পারেন বেডরুমের জন্য। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় যখনই রুমে ঢুকবেন, মনের ক্লান্তি দূর করে ফুরফুরে মেজাজ উপহার দিবে ঈদ। বিছানায় বিভিন্ন সাইজের কুশনও রাখতে পারেন। বেডরুমে রাখতে পারেন হালকা আলোতে টিকে থাকা স্নেক প্ল্যান্ট, পিস লিলি, বা ল্যাভেন্ডার। এগুলো ঘুমের মান উন্নত করে এবং ঘরে সজীবতা আনে।খুব সাধারণভাবে অল্প জিনিসে সাজালে ঘর অনেক প্রশস্ত লাগবে। হালকা আলোর ব্যবস্থা রাখলে চোখে ও মনে আরাম লাগবে। কাজ শেষে রুমে এসে বসলেই মন প্রশান্তিতে ভরে যাবে।
যাপিত জীবন প্রতিবেদক