.
দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা ও গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার পালিত হয়েছে। এতিমদের মাঝে ইফতার বিতরণ, কবর জিয়ারত ও বিশেষ দোয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। এদিন বনানী কবরস্থানে গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়।
বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে দোয়ার আয়োজন করে। কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্প পরিবারের প্রধান কার্যালয়ের মসজিদে বাদ আছর মরহুমের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। জনকণ্ঠ ভবন মসজিদের ইমাম এই দোয়া পরিচালনা করেন। গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ ছাড়া বিক্রমপুরের মরহুমের গ্রামের বাড়ি, জনকণ্ঠের চট্টগ্রাম কার্যালয়সহ গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় মরহুমের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এতিমদের মাঝেও ইফতার বিতরণ করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়। কবর জিয়ারত অনুষ্ঠানে গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদিনীমন্ডল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ২নং সেক্টরে কমান্ডার হিসেবে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেন এবং অনেক বড় বড় অপারেশনে অংশ নেন। বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা একজন সফল শিল্পপতি হিসেবে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তিনি হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভোরে ইন্তেকাল করেন।
