ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশি ক্রেতার অভাবে কাঁদছে কলকাতা

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২০:১৪, ১৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশি ক্রেতার অভাবে কাঁদছে কলকাতা

ছবি: সংগৃহীত

অন্যান্যবার ঈদের আগে কলকাতায় ব্যাগ ভরে মার্কেটিং করতো বাংলাদেশি ক্রেতারা। আর তাতে পকেট ভারী হতো কলকাতা নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য বিপনী বিতানের ব্যবসায়ীদের। অথচ এবার সেই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত, নেই বাংলাদেশি ক্রেতা, পেটে ভাত বন্ধের উপক্রম কলকাতার ব্যবসায়ীদের।

এক বিক্রেতা বলেন, "বাংলাদেশে ভাইদের জন্য ভিড় বাড়ে। কিন্তু এবার বাংলাদেশে একটু কমই আছেন। সবাই জানে পরিস্থিতি কি আছে।"

৫ আগস্টের আগেও কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট গিজগিজ করতো বাংলাদেশের পর্যটকে। যেই কলকাতার আনাচে কানাচে, অলিগলি বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখর থাকতো সেখানে এতটাই ভিড় হতো যে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত থাকতো না। সেসব স্থানে এখন স্থানীয় ক্রেতাদের নিয়ে ব্যবসায়ীদের গতানুগতিক ব্যস্ততা। কেউ ভাবতে পারেনি কলকাতার প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেটে রমজান মাসে এমন ঢিলে ঢালা দৃশ্য।

কলকাতায় সাধারণত রোজার মাসে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কেনাকাটার ধুম পড়তো। পুরো মাস জুড়ে বাংলাদেশি থেকে স্থানীয় মুসলিম ক্রেতাদের পোশাক থেকে সাজের অনুসঙ্গের চাহিদা থাকতো তুঙ্গে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার হিরিক পড়তো। বর্তমানে একেবারেই বাংলাদেশি শূন্য কলকাতা।

৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কারণে এবারই প্রথম রোজার ঈদে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার বাজারে নেই বাংলাদেশি ক্রেতারা। এতে করে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য জনপ্রিয় মার্কেটগুলো। তাদের ব্যবসা চলছে ঢিমে তালে। স্থানীয়দের নিয়েই এখন খুশি ব্যবসায়ীরা। এমনকি বাংলাদেশিদের কলকাতা সফর স্বাভাবিক করার আহ্বান তাদের কন্ঠে।

আরেক বিক্রেতা বলেন, "ডিসডভান্টেজ হল বাংলাদেশি নেই বলে আমাদের সেলটা একটু ডাউন হয়েছে।" মূলত কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট বা মুকুন্দপুর অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই বাংলাদেশি পর্যটকরা থাকেন, কেনাকাটা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশি পর্যটক না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সেখানকার হাসপাতালগুলো। এর সাথে জড়িয়ে থাকা হোটেলগুলো প্রায় ফাঁকা। ওখানে হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এক বিরাট পরিসেবা শিল্প। খাওয়ার বা থাকার হোটেল, ওষুধের দোকান, সব মিলিয়ে প্রায় লাখ খানেক মানুষের আয় রোজগার চলে ওই হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র করে। যদিও ভারতের হাই কমিশনগুলো মেডিকেল ভিসা দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও আগের তুলনায় বিপুল হারে কমে গেছে রোগীর সংখ্যা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করেছে ভারত। জটিল চিকিৎসা ও পড়াশোনার ভিসা ছাড়া এখনো পর্যটক ভিসা দেয়া চালু করেনি ভারত। ফলে লাখ লাখ বাংলাদেশি পর্যটক হারিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তানি পোশাক থেকে সাজের অনুষঙ্গ। পাকিস্তানের সাথে বেড়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য, যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ ভারত।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Cy9so-imgqA

আবীর

×