ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

নাপিতের কাজ করে বিশ্বরেকর্ড!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২০, ১২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:২০, ১২ মার্চ ২০২৫

নাপিতের কাজ করে বিশ্বরেকর্ড!

শিটসুই হাকুইশি

১০৮ বছর বয়সেও কাঁচি হাতে নাপিতের কাজ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডস গড়লেন শিটসুই হাকুইশি। হ্যাঁ এটি কোনো গল্প নয়, বাস্তব। আসুন, জানি তার অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা।"

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা নাপিত শিটসুই হাকুইশি। নয় দশকের বেশি সময় ধরে নাপিতের কাজ করছেন তিনি। এখনো অবসর নেওয়ার ইচ্ছে নেই তার। আর এই নাপিতের কাজ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ১০৮ বছর বয়সি এই নারী।

জাপানের তোচিগি অঞ্চলের ওয়াগা এলাকার এক কৃষক পরিবারে ১১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন শিটসুই হাকুইশি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন মানুষের চুল-দাড়ি কামানোকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন। তার পর চলে যান রাজধানীর টোকিওতে। পরে বিশ বছর বয়সে একজন নর সুন্দর হিসেবে লাইসেন্স পান শিটসুই হাকুইশি।

তখন স্বামীর সঙ্গে মিলে একটা সেলুন খোলেন তিনি।  শিটসুই হাকুইশি ও তার স্বামীর দুই সন্তান ছিল। ১৯৩৭ সালে শুরু হওয়া জাপান-চীন যুদ্ধের সময় মারা যান তার স্বামী। এরপর ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় টোকিওতে বোমা বর্ষনে  সময় তার সেলুন ধ্বংস হয়।  তবে এর আগে সন্তানদের নিয়ে তজিগি অঞ্চলের অন্যত্র পালিয়ে যান শিটসুই হাকুইশি।

শখের সেলুন আর জীবিকার একমাত্র সম্বল হারিয়ে শিটসুই হাকুইশির জীবন যেন থমকে যায়। কিন্ত হালি ছাড়েননি তিনি। আট বছর সংগ্রামের পর আবারও তার জন্মস্থান নাকাগাওয়াতে নতুন করেন সেলুন খোলেন নাম দেন রিহাতসু হাকুইশি। অর্থ্যাৎ নাপিত  হাকুইশি। ধৈর্য্য, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা তাকে জীবনে সফল করে তোলে। বর্তমানে শিটসুই হাকুইশির বয়স ১০৮ বছর হলেও তিনি নিয়মিত সেলুনে যান। নাপিতের কাজ তিনি মনোযোগ সহকারে করেন। 

শিটসুই হাকুইশির কাজের প্রশংসাও করেন তার সেলুনে আসা ভক্তরা। তবে শিটসুই হাকুইশি জানান সর্বোচ্চ ১১০ বছর পর্যন্ত নাপিতের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন অবসর শব্দটা তার অভিধানে নেই।

শহীদ

×