
ঈদের পর পরই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতে সময় খুবই কম। ছোটবেলায় রোজায় বাবা-মা পড়ার জন্য জোর দিতেন না। বলতেন, রোজায় লেখাপড়ার ছুটি। সন্ধ্যায় ইফতার শেষে ক্লান্ত শরীরে চুপচাপ শুয়েই থাকতাম। পরে উঠে শুধু তারাবি নামাজ পড়তাম। দিনেরবেলা একটুখানি পড়তে বসতাম। আমাদের সময় পুরো রোজা স্কুল বন্ধ থাকত। কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তো আর তা হতো না। আর ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ ব্যক্তির ওপর রোজা রাখা ফরজ। আজকাল অনেক বাবা-মাকে-ই দেখা যায়- স্কুল, কোচিং বা পরীক্ষা থাকলে ছেলেমেয়েদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন। ছেলেমেয়েরা রোজা রাখতে কখনো জিদও করে। যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বয়স অনুসারে রোজা ফরজ। তাই তাদের না করবেন না। বরং খেয়াল রাখুন সারাদিন রোজার পর তারা যেন ক্লান্ত বা অসুস্থ হয়ে না পড়ে। তার জন্য তাদের ইফতার ও সেহরিতে নজর দিন। সেহরিতে ভাজা-পোড়া না দিয়ে দুধ, দই, চিড়া, কলা, ফল, শরবত, ফলের জুস ইত্যাদি খেতে দিন। হালিম বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করুন। অন্যান্য ইফতারিও ঘরে বানানোর চেষ্টা করুন। রাতের খাবার ও সেহরিতে মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, দুধ, কলা খেতে দিন। এতে করে তারা সঠিক পুষ্টি পাবে। সুস্থ থাকবে। আর ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করছে কিনা সেদিকে নজর দিন। অনেকে ভোরে উঠে সেহরি খেতে চায় না। তাদেরকে বুঝিয়ে বলে অবশ্যই সেহরি খাওয়াবেন। সেহরি খাওয়া যেমনি সুন্নত, তেমনি ভোরে সেহরি খেলে শরীরে সারাদিনের এনার্জি পাওয়া যাবে, এতে তারা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরবে না। পড়ার প্রতিও অনীহা আসবে না। মায়েরা দুশ্চিন্তা না করে সন্তানদের খাবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। এতে একদিকে যেমন আপনার সন্তান ধর্মীয় অনুশাসনে অভ্যস্ত হবে, তেমনি সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেও শিখবে।