
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি গ্যালাপ এবং সিডিসির জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতি পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন নিজেকে সমকামী, উভকামী বা অন্য কোনো পরিচয়ে চিহ্নিত করছে, যা অভূতপূর্ব এবং নজিরবিহীন। এই প্রবণতার পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সমাজের বিভিন্ন মহলে বিভক্ত মতামত দেখা যাচ্ছে।
এলজিবিটিকিউ অধিকারের পক্ষে থাকা সংগঠনগুলোর মতে, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে তরুণরা এখন আরও নিরাপদে নিজেদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করতে পারছে। ইকুয়ালিটি ক্যালিফোর্নিয়ার যোগাযোগ পরিচালক হোর্হে রেয়েস সালিনাস বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সমর্থন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার কমিয়ে আনে এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি হ্রাস করে।
অন্যদিকে, অনেক রক্ষণশীল অভিভাবক ও ধর্মীয় নেতারা অভিযোগ করছেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের ওপর এলজিবিটিকিউ ধারণা চাপিয়ে দিচ্ছে। পাদরি জেসি আলভারেজ সতর্ক করে বলেছেন যে, স্কুলগুলো একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এদিকে, "গেইস অ্যাগেইনস্ট গ্রুমার্স" নামের একটি সংগঠন দাবি করছে, শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির নামে অনুপযুক্ত এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু শেখানো হচ্ছে।
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ফ্রাঙ্ক রড্রিগেজ বলছেন, বেশিরভাগ এলজিবিটিকিউ প্রাপ্তবয়স্করা ছোটদের মধ্যে এই ধরনের বিষয় প্রচারের পক্ষে নন এবং তার সংগঠন শিশুদের "বৈচিত্র্যের নামে প্রভাবিত" করা থেকে রক্ষা করতে লড়াই করছে। তবে, তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে এবং তাদেরকে "এলজিবিটিকিউ-বিরোধী" বলে অভিহিত করা হচ্ছে, যা তারা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, এটি শিশুদের শৈশব রক্ষার লড়াই।
তবে, এখন পর্যন্ত এলজিবিটিকিউ যুবকদের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট গবেষণা হয়নি। স্কুল, অভিভাবক এবং অধিকার সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে এ নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্র: https://kmph.com/news/local/whats-behind-explosive-growth-in-lgbtq-youth-numbers
আবীর