ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

বসন্তে অপরূপ সোনাপাতি

কাঁচা হলুদ রঙের অসংখ্য ফুল

মোরসালিন মিজান

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৪ মার্চ ২০২৫

কাঁচা হলুদ রঙের অসংখ্য ফুল

দারুণ দৃষ্টি কাড়ছে এখন সোনাপাতি ফুল

সোনাপাতি ফুল বছরের বিভিন্ন সময় ফুটে। তবে এখন গাছের পাতা দেখা যাচ্ছে না। শুধু ফুল আর ফুল! ঘন হয়ে ফুটে থাকা ফুলে কাঁচা হলুদ রং। রাজধানী ঢাকার পথের ধারে সড়ক দ্বীপে ফুলটি দেখা যাচ্ছে। গায়ে গা লেগে থাকা অসংখ্য ফুল দেখে মন গুনগুন করে গেয়ে ওঠে ‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে...।’ 
সোনাপাতি ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টেকমা স্টানস। আরও কিছু নাম আছে। এই যেমন ইয়োলো বেলস, ইয়োলো ট্রামপেট, ইয়োলো এলডার। আর সবচেয়ে সুন্দর নামটি সম্ভবত চন্দ্রপ্রভা। সোনাপাতি গাছ কিছুটা ঝোপের মতো হয়। একই গাছের আবার দুইটি প্রজাতি। বড় প্রজাতির গাছে বড় ফুল। ছোটটিতে অপেক্ষাকৃত ছোট ফুল ফুটে। রঙের দিক থেকে উভয় প্রজাতি এক ও অভিন্ন। উপরের দিকে ছড়ানো গাছে সবুজ পাতা।

সেই সবুজ রীতিমতো ঢেকে দেয় গাঢ় হলুদ রঙের ফুল। কাছে গিয়ে ভালো করে খেয়াল করলেই এক একটি ফুলের আকৃতি অনুমান করা যায়। ফুলগুলো লম্বা মাইকের মতো দেখতে। কেউ কেউ তাই মাইক ফুল বলে চালিয়ে দিচ্ছেন! এমন বেশকিছু ‘মাইক’ নিয়ে একটি তোড়া। 
প্রতিটি তোড়ায় হলুদের মাখামাখি। থোকা থোকা হলুদে গোটা গাছটি বিশেষ দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। 
উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মার গবেষণা মতে, সোনাপাতি ক্রান্তীয় আমেরিকান প্রজাতি। ছোট প্রজাতির গাছ ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর সরু ডালের দুইপাশে ঘনপাতা। দল ফানেলের আকার চওড়ায় ৩ থেকে ৪ সেমি। 
সোনাপাতির বড় প্রজাতিটির নাম গৌরীচৌরী। এই গাছ ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। একই রকম যৌগপত্র।  
সৌন্দর্য বিবেচনায় কয়েক বছর আগে রাজধানীতে ব্যাপক হারে লাগানো হয়েছিল এই গাছ। 
রাস্তা বা ঝিলের ধারে লাগানো গাছে এখন ফুল আর ফুল। নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন। দেখুন। উপভোগ করুন সৌন্দর্য।

×