
ছবি: সংগৃহীত
দুর্দান্ত নেতৃত্ব জন্মগত ক্ষমতা নয়; বরং এটি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি দক্ষতা বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক লিন্ডা হিল। তিনি বলেন, নেতৃত্ব হল আত্মোন্নয়নের একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ব্যক্তিকে নিজের সুরক্ষিত সীমার বাইরে গিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়।
হিল সফল নেতাদের যে আটটি মূল গুণ আলাদা করে তুলে ধরেন তা হলো:
১. প্রামাণিকতা – আত্মবিশ্বাসী ও সৎ হওয়া বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে।
২. কৌতূহল – নতুন ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি অন্বেষণ এবং উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
৩. বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা – সমস্যার সমাধান ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
৪. খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা – পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার দক্ষতা।
৫. সৃজনশীলতা – বৈচিত্র্যময় চিন্তাভাবনা থেকে উদ্ভাবনী ধারণা সৃষ্টি হয়।
৬. অস্পষ্টতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া – অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
৭. সহনশীলতা – প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার মানসিক দৃঢ়তা।
৮. সহানুভূতি – অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার ক্ষমতা সম্পর্ক গঠনে সহায়ক।
হিল মনে করেন, নেতৃত্ব একটি নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার প্রক্রিয়া, যেখানে আত্মবিশ্লেষণ, মতামত গ্রহণ ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার মানসিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, "আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন মানসিকতা, আচরণ ও সম্পর্ক গড়ে তোলা, যা আপনাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে ও অসাধারণ কিছু করতে সাহায্য করবে।"
আবীর