ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

উত্তাল সমুদ্রের চারপাশের মানুষের ঢল, যেন ফিরে এসেছে আরেক জাহেলিয়াত

প্রকাশিত: ২১:৫২, ৩ মার্চ ২০২৫

উত্তাল সমুদ্রের চারপাশের মানুষের ঢল, যেন ফিরে এসেছে আরেক জাহেলিয়াত

ছবি: সংগৃহীত।

এ যেন আরেক জাহিলিয়াত ইসলামের ইতিহাসে যে যুগে মানুষ সূর্য, পাহাড়, নদী কিংবা সমুদ্রের পূজা করতো; আজও পৃথিবীর কিছু প্রান্তে সেই প্রথার অনুরূপ চিত্র দেখা যাচ্ছে।

উত্তল সমুদ্রের চারপাশে মানুষের ঢল, বর্ণিল পোশাক পরা মানুষ হাতে ফুল আর খাবারের থালা, কেউ নৌকা ভাসাচ্ছেন, তো কেউ ফুল আর নানা উপহার নিয়ে ব্যস্ত। যেন মনে হয়, বিয়ের বড় আয়োজন চলছে, কিন্তু ঘটনা আরেকটু ভিন্ন। এরা সবাই সমুদ্র দেবীর পূজায় মগ্ন। তাদের বিশ্বাস, এই দেবী সৌভাগ্য আর জীবনের নিরাপত্তা এনে দেন।

প্রতিবছর এই সময় তারা একত্রিত হন, সমুদ্রের কোলে নিবেদন করেন তাদের বিশ্বাস আর ভালোবাসা। কোপা কাবানা সমুদ্রত আফ্রো-ব্রাজিলিয় সম্প্রদায় প্রতিবছর সমুদ্র দেবী ইয়েমানজার আরাধনায় এই সমুদ্রের তীরে সমবেত হন। তাদের বিশ্বাস, এই দেবী কল্যাণ, সৌভাগ্য এবং জীবনের শান্তি নিয়ে আসেন।

মাদুরীরা বাজার থেকে শুরু হয় এই জমকালো শোভাযাত্রা। স্থানীয়রা বলেন, ইয়েমানজা শুধু সমুদ্রের রক্ষকই নন, তিনি নাবিক, জেলে, স্ত্রী এবং মায়েদেরও রক্ষাকর্ত্রী। সমুদ্রত পৌঁছে তারা ফুল সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেন, এর সঙ্গে মিশে থাকে প্রার্থনার আওয়াজ, শক্তি, স্বাস্থ্য আর ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা। ভিডিওতে দেখা যায়, উপাসকেরা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সমবেত গান গাইছেন, নাচছেন আর একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। তারা আশাবাদী, শক্তি, স্বাস্থ্য আর অনেক ভালোবাসা পাবেন এই দেবীর কাছ থেকে।

আরেকজন জানান, তিনি প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কারণ ইয়েমানজা তাদের মাঝে আশীর্বাদ নিয়ে আসেন। ইয়েমানজা আফ্রো-ব্রাজিলিয় ধর্ম উম্বান্ডার এক প্রধান দেবী। উম্বান্ডা হলো এক বিশেষ ধর্ম যা আফ্রিকান প্রথা, রোমান ক্যাথলিক ধর্ম, স্পিরিটিজম এবং স্থানীয় আমেরিকান সংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে উঠেছে। ইয়েমানজাকে ওড়িশাদের মা হিসেবে সম্মান জানানো হয়।

যেখানে বিজ্ঞান ও আধুনিক জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে এখনো মানুষ প্রাকৃতিক শক্তিকে দেবতায় রূপ দিয়ে পূজা করছে। এটা এক ধরনের হতাশাজনক চিত্র। এমন আচার অনুষ্ঠান কি সত্যিই সৌভাগ্য বা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে?

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ofr8z3AF-5o&ab_channel=RtvNews

নুসরাত

×