
ছবি:সংগৃহীত
দিন দিন স্বর্ণের অলংকার অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, তাদের গহনা বিক্রি কমেছে। তবে যারা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন, তাদের কাছে এর চাহিদা বেড়েছে। কারণ, স্বর্ণ তেল ও গ্যাসের মতো শেষ হয়ে যায় না, বিভিন্ন হাত ঘুরে তা পৃথিবীতেই থাকে, তাই এর স্থায়িত্ব রয়েছে।
শতাব্দী ধরে বহু মানুষ নিরাপত্তার জন্য স্বর্ণে বিনিয়োগ করে আসছেন। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বর্ণে বিনিয়োগের একটি বড় কারণ হলো, স্বর্ণের দাম বাড়লেও বা কমলেও তাতে তেমন বড় পার্থক্য হয় না। তাই স্বর্ণের বাজারের অস্থিরতা সত্ত্বেও এখনও অনেকের কাছে এটি ভরসার প্রধান উপকরণ।
স্বর্ণে বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদ মনে করা হয়, কারণ এটি মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষিত আশ্রয় হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, এর কিছু খুঁটিনাটি আছে যা মনে রাখা দরকার:
মূল্য ওঠানামা: স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে, এবং কখনও কখনও তা খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। এর মানে হল যে স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনার লাভ বা ক্ষতি হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ : স্বর্ণ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে সুরক্ষিত থাকে, তবে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে এর ফলাফল অনিশ্চিত।
লিকুইডিটি: স্বর্ণ বিক্রি করা সাধারণত সহজ, তবে বিক্রির সময় কিছু ক্ষেত্রে দাম কম হতে পারে। পাশাপাশি, স্বর্ণের খরচে বিক্রির আগে প্রাসঙ্গিক কর এবং খরচও থাকতে পারে।
ডিভার্সিফিকেশন: বিনিয়োগে ঝুঁকি কমাতে শুধুমাত্র স্বর্ণে বিনিয়োগ করা উচিত নয়, বরং অন্যান্য পণ্য বা সম্পদেও বিনিয়োগ করা উচিত।
এভাবে বলা যায়, স্বর্ণে বিনিয়োগ সাধারণত নিরাপদ হতে পারে, তবে এটি অন্যান্য সম্পদের সাথে ভারসাম্যপূর্ণভাবে করা উচিত।
আঁখি