
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাজিলের আটলান্টিক উপকূলে অবস্থিত ‘সাপের দ্বীপ’ (Isla de Queimada Grande) বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক স্থান হিসেবে পরিচিত। কারণ, এই দ্বীপটি হাজার হাজার বিষাক্ত সাপের আবাসস্থল। বিশেষ করে এখানে পাওয়া যায় বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, দ্বীপটিতে প্রায় ২,০০০ থেকে ৪,০০০ সোনালী ল্যান্সহেড ভাইপার বাস করে। এই সাপের বিষ এতটাই শক্তিশালী যে, এটি কামড়ানোর পরপরই মানবদেহে দ্রুত টিস্যু নষ্ট করতে শুরু করে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হতে পারে।
দ্বীপটি এতটাই বিপজ্জনক যে, ব্রাজিল সরকার সাধারণ মানুষের জন্য এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। শুধুমাত্র অনুমোদিত গবেষক, বিজ্ঞানী এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানে প্রবেশ করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাজার বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই দ্বীপটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে এখানে বসবাসকারী সাপদের প্রাকৃতিক শত্রু কমে যায় এবং তারা সংখ্যায় বাড়তে থাকে।
এটি প্রকৃতির এক রহস্যময় সৃষ্টি এবং গবেষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র। দ্বীপটি নিয়ে বহু গল্প-কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে, যা এটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
সাপের দ্বীপ প্রকৃতির এক বিস্ময়, যেখানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও এটি প্রাণীবিজ্ঞানীদের জন্য এক অমূল্য গবেষণার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
শিলা ইসলাম