
ছবি: সংগৃহীত
গ্রেট পিরামিড অফ গিজা থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরও দুটি সুবিশাল পিরামিড, যা সময়ের বাধা পেরিয়ে হাজার বছর ধরে টিকে আছে। এরই মধ্যে অন্যতম হলো ফারাও খাফরের পিরামিড।
তথ্য অনুযায়ী, ফারাও খাফরে ছিলেন খুফুর পুত্র এবং তার শাসনকালেই খুফুর পিরামিডের নির্মাণ সম্পন্ন হয়। পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে, তিনি নিজের পিরামিডের উচ্চতা কিছুটা কম রেখেছিলেন। যদিও খুফুর পিরামিডের তুলনায় এটি সামান্য ছোট, তবে প্রকৌশল এবং কারুকার্যের দিক থেকে খাফরের পিরামিড এক অনন্য নিদর্শন।
মূলত লাইমস্টোনের ব্লক ব্যবহার করে নির্মিত এই পিরামিড, তৈরির পর বিশেষ ধরনের লাইমস্টোনের আচ্ছাদনে ঢাকা ছিল। সূর্যের আলো পড়লে গোটা পিরামিডটি সোনার মতো চকচক করত, যা এক অভূতপূর্ব দৃশ্য সৃষ্টি করত।
তবে, প্রাকৃতিক কারণে সময়ের সাথে সাথে পিরামিডের গায়ে থাকা লাইমস্টোনের সেই আস্তরণ উঠে গিয়েছে। তবুও, আজও এর শীর্ষ অংশে কিছুটা অংশ অবশিষ্ট রয়েছে, যেখানে সূর্যের আলো পড়লে তা সোনার মতো ঝলমল করে ওঠে।
ফারাও খাফরের পিরামিড শুধুমাত্র তার শাসনামলের প্রতীক নয়, বরং এটি প্রাচীন মিশরীয়দের স্থাপত্য ও প্রকৌশল কৌশলের এক চমকপ্রদ নিদর্শন। হাজার বছর পেরিয়েও এই পিরামিড পর্যটকদের বিস্মিত করে চলেছে, যা মিশরের ইতিহাসের এক মূল্যবান অংশ হিসেবে টিকে থাকবে অনন্তকাল।
শিলা ইসলাম