
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের রাহিমইয়ার জেলায় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একজন করে ইউটিউবার রয়েছেন। লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে তাদের।
গ্রামের লোকেরা কনটেন্ট তৈরি করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। কীভাবে এবং কেন তারা ইউটিউবকে রোজগারের উৎস বানিয়েছেন তা জানা যাবে এখানে।
মাত্র ৮০ টি বাড়ি আছে এই গ্রামে। দেখতে পাকিস্থানের অন্য সব বাড়ির মতই। কিন্তু এই গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছেন একজন করে ইউটিউবার। কেবল গ্রামের নারী সদস্য বাদে। নারীদের এমন কাজে অংশ নেয়ার অনুমতি নেই। ধর্মীয় কারনে নারীদের জন্য এ কাজ অনুচিত বলে মনে করেন গ্রামের প্রবীণরা। গ্রামের এই ইউটিউবারদের বেশিরভাগেরই গড়ে লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন। তা থেকে তারা ভালো উপার্জন করছেন।
হায়দার আলি নামের একজন ইউটিউবার বলেন, "আমি হসপিটাল থেকে এক বছরে যা উপার্জন করতাম, 'আলহামদুলিল্লাহ্' ইউটিউবে আমি তা একদিনে রোজগার করি। গ্রামবাসীদের করা ছোট ভিডিও গুলি সাধারনত দানশীলতা বা ধর্মীয় কাজকর্ম সংক্রান্ত। কেউ কেউ বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য। রোমান আলি নামের আর একজন ইউটিউবার বলেন," আমি দুবাইতে তিন বছর কাজ করেছি। পাকিস্তানে থাকা এক বন্ধু আমাকে ইউটিউবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেছিল,"এটি আয়ের একটি উৎস যা তোমাকে হতাশ করবে না। তাই আমি দুবাই ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরে আসি। ইউটিউবে কাজ করছি প্রায় ৬ মাস ধরে। আলহামদুলিল্লাহ্, এখন আমার নিজের একটি গাড়ি এবং একটি টিম আছে যা আমি পরিচালনা করি।"
গ্রামবাসীরা এখন এই কথা সবদিকে ছড়িয়ে দিতে চায় এবং আশা করছে যাতে তাদের অনলাইন ব্যবসা আরও উন্নতি হয়।
ইমরান