অনেক গবেষক এবং বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে ৮০ লাখেরও বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। বিদেশি পাখি থেকে শুরু করে সাধারণ হাতি পর্যন্ত, এই প্রজাতিগুলি পৃথিবীর সর্বত্র বাস করে, তা গভীর সমুদ্র বা বন হোক। তবে এখনও নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। আজকে আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আবিষ্কৃত ৮টি অনন্য প্রাণী সম্পর্কে জানাবো।
চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ভ্যাম্পায়ার হেজহগ
ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত হেজহগের একটি নতুন প্রজাতি, ভ্যাম্পায়ার হেজহগ হল একটি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যার নরম, ঝলমলে পশম রয়েছে। এর লম্বা, ফ্যাং-এর মতো দাঁতও রয়েছে এবং দেখতে ইঁদুর এবং শ্রুর মিশ্রণের মতো।
লর্ড সৌরন পিরানহা
'দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস'-এর একটি চরিত্রের নামানুসারে নামকরণ করা এই পিরানহা আমাজন নদীতে পাওয়া গেছে। এর একটি চ্যাপ্টা, গোলাকার দেহ এবং ধূসর এবং কমলা রঙের মিশ্রণ এবং কালো বিন্দুর ছিটা রয়েছে। এবং নিয়মিত পিরানহা থেকে ভিন্ন, এটি নিরামিষ প্রকৃতির।
কাও ব্যাং ক্রোকোডিল নিউট
২০২৪ সালে আরেকটি অনন্য আবিষ্কার ছিল কাও ব্যাং ক্রোকোডিল নিউট। এটি তার ছোট আকার, কমলা এবং কালো রঙ এবং শরীরের উপর ছোট বিন্দুর জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
ক্লাউডেড টাইগার বিড়াল
সম্প্রতি আবিষ্কৃত বন্য বিড়ালের একটি আরাধ্য প্রজাতি হল ক্লাউডেড টাইগার বিড়াল। এটি ছোট, তুলতুলে এবং কৌতূহলী চোখ এবং লম্বা গোঁফ রয়েছে।
স্টারি নাইট টিকটিকি
ভ্যান গঘের চিত্রকর্মের নামানুসারে, স্টারি নাইট টিকটিকি ভারতের পশ্চিমঘাটে পাওয়া গেছে। এটি নিস্তেজ হলুদ, নীল-কালো এবং সাদা রঙের মিশ্রণ এবং এর উপরের শরীরের উপর রঙের ছিটা রয়েছে।
স্পঞ্জ-বাসকারী গোবি
সাম্প্রতিক অতীতে আবিষ্কৃত আরেকটি প্রাণী হল স্পঞ্জ-বাসকারী গোবি। এটি এমন একটি মাছ যা বন্য স্পঞ্জে বসবাসের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং গোলাপী, সাদা, নীল, কালো, হলুদ এবং অন্যান্য বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়।
সাউদার্ন-ম্যানড স্লথ
সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত স্লথ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে সাউদার্ন-ম্যানড স্লথ। ঘাড় ও কাঁধের চারপাশে লম্বা চুল এবং চ্যাপ্টা মুখের কারণে এটি অন্যান্য প্রজাতির থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
সাউদার্ন জায়ান্ট হামিংবার্ড
সম্প্রতি আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় হামিংবার্ড প্রজাতির মধ্যে এটি একটি। এই হামিংবার্ডের একটি বড়, ধারালো ঠোঁট এবং এর শরীরে এবং ডানায় রঙের মিশ্রণ রয়েছে।
সজিব
