
ছবি:সংগৃহীত
শুধুমাত্র গোলাপী রঙের জন্য মহিলাদের ক্ষতি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা
পিঙ্ক ট্যাক্স একটি বিশেষ ধরনের কর যা লিঙ্গের ভিত্তিতে আরোপিত হয়, এবং এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে মহিলাদের উপর আরোপিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে, যেসব পণ্য বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়, সেগুলির ওপর এই অতিরিক্ত মূল্য চাপানো হয়। এই ট্যাক্স মূলত একটি অদৃশ্য অতিরিক্ত খরচ, যা মহিলাদের পণ্য ও পরিষেবার উপর দিতে হয়। সহজ ভাষায়, পিঙ্ক ট্যাক্স হল সেই অতিরিক্ত মূল্য যা মহিলাদের তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দিতে হয়, যা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি।
এই ট্যাক্স কীভাবে আদায় করা হয়?
যেসব পণ্য বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়, যেমন মেকআপ আইটেম, লিপস্টিক, নেইল পেইন্ট, স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি, সেগুলির দাম সাধারণত বেশি হয়। এর কারণ, উৎপাদন ও বিপণন খরচ ছাড়াও, মহিলাদের জন্য ডিজাইন করা এই পণ্যগুলির ওপর অতিরিক্ত মূল্য আরোপ করা হয়। একইভাবে, এমন পণ্য যেগুলি পুরুষ ও মহিলারাই ব্যবহার করে, যেমন পারফিউম, ব্যাগ, চুলের তেল, ক্ষুর, কাপড় ইত্যাদি, সেগুলির দামও মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে আলাদা হয়, যেখানে মহিলাদের দাম সাধারণত বেশি থাকে। সেলুনে চুল কাটাতে গেলেও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি টাকা দিতে হয়।
কেন এই ট্যাক্স মহিলাদের ওপর চাপানো হয়?
বাজারের দৃষ্টিকোণ থেকে কোম্পানিগুলি জানে যে মহিলারা তাদের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিগত যত্ন নিয়ে বেশি সচেতন। তারা বেশি সংখ্যক পণ্য ব্যবহার করেন এবং পণ্যটি তাদের পছন্দ হলে, তারা দামের দিকে তাকিয়ে না রেখে কিনে নেন। এই প্রবণতা ব্যবহার করে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য আকর্ষণীয়ভাবে বাজারজাত করে এবং মহিলাদেরকে বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে উৎসাহিত করে। ফলে, পিঙ্ক ট্যাক্স এমন একটি খরচ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা মহিলারা বেশিরভাগ সময় এড়াতে পারেন না।
বর্তমানে, পিঙ্ক ট্যাক্স একটি বিশেষ ধরনের ব্যবসায়িক কৌশল হয়ে উঠেছে, এবং এটির মাধ্যমে কোম্পানিগুলি তাদের আয় বহুগুণ বাড়িয়েছে। তবে, এই বিষয়ে সরকার কোনো নির্দিষ্ট নিয়মনীতি চালু করেনি, ফলে সরকার এই ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু করতে পারে না।
আঁখি