
ছবি: সংগৃহীত
মতভেদে ভারতবর্ষের সবচেয়ে পুরোনো মিষ্টি এই লাড্ডু। আমাদের বিভিন্ন উদযাপনের অপরিহার্য মিষ্টি হিসেবে পরিচিত এই মিষ্টির উৎপত্তি কিন্তু কোনও বিলাসী খাবার হিসেবে হয়নি। বরং এর শিকড় লুকিয়ে আছে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তায়।
প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক সুশ্রুত ৪র্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম লাড্ডুর ধারণা দেন। তিনি শল্যচিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি তার রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিভিন্ন উপাদান যেমন- চিনাবাদাম, তিল, গুড় ইত্যাদি মিশিয়ে একটি বল তৈরি করতেন। এভাবে পথ্য হিসেবেই লাড্ডুর ধারণার জন্ম হয়।
দক্ষিণ ভারতে লাড্ডুর উৎপত্তি নিয়ে অন্য একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। বলা হয় নারকেলের তৈরি একপ্রকার লাড্ডু চোল সাম্রাজ্যের সময় থেকে প্রচলিত। সেসময় সৈন্যরা, ভ্রমণকারীরা যাত্রার সময় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে এই মিষ্টি সঙ্গে রাখতেন।
এছাড়া লাড্ডুর একটি অতি সমাদৃত প্রকারভেদ ‘মতিচূর লাড্ডু’নিয়েও একটি ঐতিহাসিক জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়- মল্ল রাজবংশের এক রাজা গোবিন্দের আরাধনার জন্য ভিন্ন রকমের প্রসাদ তৈরি করার নির্দেশ দেন এক ময়রাকে। সেই ময়রা স্থানীয় পিয়াল গাছের বীজ সংগ্রহ করে সেগুলো ভালো করে শুকিয়ে তা ভেজে তা থেকে বেসন তৈরি করেন। সেই বেসন গুলোকে ছোট ছোট মুক্তার মতো ভেজে তৈরি করেন এই লাড্ডু। মতির মত দেখতে হওয়ায় এর নাম হয় মতিচুর লাড্ডু।
এমটি