ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

পা দিয়ে আঁকা ছবি বিক্রি করেই হাল ধরেছেন পরিবারের

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:৫৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পা দিয়ে আঁকা ছবি বিক্রি করেই হাল ধরেছেন পরিবারের

ছবি: সংগৃহীত

সৃষ্টিকর্তা যদি কাউকে তার কোন নেয়ামত থেকে বঞ্চিত করেন, তাহলে হয়তো সেই নেয়ামতের চেয়েও বড় কিছু দিয়ে দেন যার কারণে সে ব্যক্তি হয়ে ওঠেন সবার কাছে অনন্য।

তেমনি একজন ১২ বছর বয়সী পেরুর এঞ্জে মিশেল আরেভালো কুলকি। তার হাত নেই কিন্তু হাত ছাড়াই যে অসাধারণ শিল্পকর্ম তিনি তৈরি করেন তা হয়তো অনেক হাতওয়ালার পক্ষেও সম্ভব নয়।

এঞ্জে পা দিয়ে আঁকেন। তার আঁকা অসাধারণ সব ছবি দেখলে মনে হয়, যেন রঙের ভাষায় স্বপ্ন কথা বলে। তার গল্পের শুরুটা হয়েছিল মাত্র তিন বছর বয়সে। তার মা সিসিলিয়া কুলকি তাকে শেখাতে শুরু করেন কিভাবে পেন্সিল ধরতে হয়, কিভাবে খেতে হয়, কিভাবে লিখতে হয।

ধীরে ধীরে রঙের জগতে ঢুকে পড়েন এঞ্জে। প্রথমে পেন্সিল, তারপর তুলি। সবই পা দিয়ে আয়ত্ত করেন তিনি। একসময় চিত্রশিল্প শুধু তার শখ ছিল। কিন্তু পরে সেটাই হয়ে ওঠে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যম। আর্থিক টানাপড়ে থাকা এই ছোট্ট মেয়েটি তার আঁকা ছবি বিক্রি করেন, যাতে পরিবারের খরচ চালাতে তিনি সাহায্য করতে পারেন।

তার মা মেয়েকে নিয়ে গর্ব করে বলেন, "এঞ্জে শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের জন্যও ভাবে। ওর আঁকা ছবি বিক্রি করেই আমরা প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করি। তার চোখে একটাই স্বপ্ন, একদিন বড় শিল্পী হওয়া।"

নিজের হাত না থাকলেও প্রতিভার কোন কমতি নেই তার মধ্যে। প্রতিদিন নতুন নতুন ছবি আঁকেন, নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন। কঠোর পরিশ্রমের কারণেই ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেছেন অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এমন গল্প শুধুমা প্রতিভার কথা বলে না, বলে সাহস, ইচ্ছাশক্তি ও এক অদম্য মানসিকতার কথা। সমাজ যেখানে শারীরিক অক্ষমতাকে দুর্বলতা ভাবে, এঞ্জে সেখানে দেখিয়ে দিলেন প্রকৃত শক্তি আসে মনের গভীর থেকে।

 

তথ্যসূত্র : https://tinyurl.com/3enm8hau

রাকিব

×