
ফলের গুণাবলি সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। তবে কোন ফলে সবেচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে বা কোনটিতে আছে সবচেয়ে কম, বিশ্বে কোন ফলটি সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় সে বিষয় অনেকেরই অজানা রয়েছে।
চলুন জেনে নিই বিশ্বের সবচেয়ে দুর্লভ, পুষ্টিকর, কম ক্যালরিযুক্ত এবং আরও অনেক ফলের নাম-
বিশ্বের সবেচেয়ে পুষ্টিকর ফল অ্যাভোক্যাডো। এটি মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার স্থানীয় উদ্ভিদ, যেটি লরেসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ফলটির খোসা কুমিরের গায়ের মত অমসৃণ হওয়ায় এটা কুমির নাশপাতি হিসেবেও পরিচিত।
সবচেয়ে কম পুষ্টিকর ফল হলো শসা। এর উৎপত্তি ভারতবর্ষে হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই জন্মে। এটি সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়।
সবচেয়ে দুর্লভ ফল আকি। এটি শুধুমাত্র ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি বিশেষত জামাইকার জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত।
সবচেয়ে সহজলোভ্য ও সস্তা ফল কলা। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল।
সবচেয়ে বড় ফল কাঠাল। কাঁঠাল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফল এবং ভারতের কেরালাও তামিলনাড়ুর রাজ্য ফল।
সবচেয়ে ছোট ফল উলফিয়া গ্লোবাসা বা বাংলায় গুঁড়িপানা। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম সপুষ্পক আবৃতবীজী সংবাহী উদ্ভিদ। এটি জলজ উদ্ভিদসমৃদ্ধ আরাসি পরিবারভুক্ত প্রজাতিক সদস্য।
সবচেয়ে বেশি ক্যালরিযুক্ত ফল ডুরিয়ান। ডুরিয়ান ফলটি পাওয়া যায় ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়াতে। ডুরিয়ানের ৩০টি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৯টির ফল খাওয়ার যোগ্য।
সবচেয়ে কম ক্যালরিযুক্ত ফল কামরাঙ্গা। এটি ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা অঞ্চলের একধরনের স্থানীয় প্রজাতির উদ্ভিদের ফল।
সবচেয়ে বেশি প্রোটিনযুক্ত ফল পেয়ারা। মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে পেয়ারা বেশি জন্মে। অনুমান করা হয় ১৭শ শতাব্দীতে পেয়ারা আসে।
সবচেয়ে কম প্রোটিনযুক্ত ফল তরমুজ। তরমুজে ৯২% জল থাকায় এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। এই ফলে ৬% শর্করা এবং এবং অন্যান্য উপাদান মাত্র ২%।
মুমু