![আজ থেকে ১৫ বছর পর আমাদের জীবন কেমন হবে আজ থেকে ১৫ বছর পর আমাদের জীবন কেমন হবে](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/9-2502101933.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
আজ থেকে ১৫ বছর পর, অর্থাৎ ২০৪০ সালে আমাদের জীবন হয়তো অনেক পরিবর্তিত হবে। 2040 সালের মধ্যে প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং সমাজের অব্যাহত পরিবর্তনের ফলে আমাদের জীবনধারা ব্যাপকভাবে বদলে যাবে। নতুন প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পরিবেশ সচেতনতা আমাদের জীবনের অভ্যন্তরীণ দিক পরিবর্তন করবে। আসুন দেখি, 2040 সালে আমাদের জীবনে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে।
১. প্রযুক্তির উত্থান
এআই এবং মেশিন লার্নিং: আগামী দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আমাদের জীবনে আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্টগুলোর মাধ্যমে কাজের অনেক দিক স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। গাড়ি চালানো, অফিসের কাজ, স্বাস্থ্যসেবা—সব কিছুই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও সহজ হয়ে উঠবে।
ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) প্রযুক্তি শিক্ষা, বিনোদন, এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে। মানুষের যোগাযোগের ধরন বদলে যাবে— ডিজিটাল কনফারেন্স, গেমিং, এবং ভার্চুয়াল টুরিজমের মাধ্যমে মানুষ নতুন নতুন অভিজ্ঞতা ২. পরিবহন ব্যবস্থা
স্বয়ংক্রিয় যানবাহন: স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। গাড়ির সংখ্যা বাড়বে, এবং এটি শহরের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও সহজ করবে। নতুন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা, যেমন ইলেকট্রিক গাড়ি এবং শেয়ারড রাইড, আমাদের দৈনন্দিন চলাফেরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর করবে।
পরিবহণের উন্নতি: ইলেকট্রিক গাড়ি, পরিবেশবান্ধব বিমান এবং জাহাজগুলোর বিস্তার ঘটবে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে কমাতে সহায়ক হবে।
৩. কাজের পরিবেশ
দূর থেকে কাজ: করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে দূর থেকে কাজ করার সংস্কৃতি আরও জনপ্রিয় হবে। 2040 সালে অফিসের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ প্রদান করবে। দূরবর্তী কাজের মাধ্যমে কর্মীরা আরও নমনীয় সময়সূচী অনুসরণ করতে পারবে।
নতুন পেশার উত্থান: এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স, ব্লকচেইন এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো নতুন প্রযুক্তির কারণে নতুন পেশার সৃষ্টি হবে। এই প্রযুক্তিগুলি নির্দিষ্ট স্কিলসেটের ওপর ভিত্তি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং মানুষ এক নতুন পেশাগত ধারা অনুসরণ করবে।
৪. স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রা
স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তির উন্নয়ন: টেলিমেডিসিন এবং পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং জেনেটিক থেরাপি পাওয়া যাবে। মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য অনেক সহজে পাওয়ার মাধ্যমে আরও সুস্থ জীবনযাপন করবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা: মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠবে এবং অর্গানিক খাবারের চাহিদা বাড়বে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত শরীরচর্চা মানুষকে দীর্ঘকাল সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
৫. পরিবেশ ও জীবনযাত্রা
পরিবেশের সচেতনতা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় মানুষ আরও পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রা অনুসরণ করবে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়বে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমবে। শহরের পরিবেশ আরও সবুজ ও পরিচ্ছন্ন হবে।
স্মার্ট শহর: শহরের অবকাঠামো আরও স্মার্ট হবে। স্মার্ট লাইটিং, স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম এবং আরও অনেক প্রযুক্তি শহরের অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনবে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
রেজা