![কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল পাঁচ বছরেও চালু হয়নি কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল পাঁচ বছরেও চালু হয়নি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-2502081622.jpg)
.
মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও ৫ বছরেও চালু হয়নি। ফলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কেই পরিবহনের যাত্রী ওঠা-নামা করায় বাড়ছে ঝুঁকি। এদিকে বাস টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রী, চালক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। অপরদিকে সব জটিলতা কাটিয়ে শীঘ্রই পৌর বাস টার্মিনাল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসে কালকিনিতে ১ একর ৩০ শতাংশ জমির ওপরে পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পরের বছরের ডিসেম্বরে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা চূড়ান্ত বিল তুলে নেয় মিজান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নবনির্মিত বাস টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কালকিনির ভুরঘাটা এলাকার বড় একটি অংশ দখল করে রেখেছে তিন চাকার যান। মজিদবাড়ি মৌজার ভুরঘাটা পৌর বাস টার্মিনাল চালু না হওয়ায় মহাসড়কেই যাত্রী ওঠানামা করায় বাড়ছে ঝুঁকি। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। যাত্রীদের সুবিধার্থে ভুরঘাটায় পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও ৫ বছরেও হয়নি উদ্বোধন। ফলে কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না যাত্রী, চালক ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাচান, আব্দুল আজিজ বলেন, ‘পৌর বাস টার্মিনাল চালু না হওয়ায় এখানে বখাটের আড্ডা চলে নিয়মিত। কেউ কেউ মাদক সেবনের নিরাপদ জায়গা হিসেবে পছন্দ করেছে। এতে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। তাই বাস টার্মিনালটি জরুরিভিত্তিতে চালু করা দরকার।’
সুগন্ধা বাসের চালক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বাস টার্মিনালটি চালু হলে যাত্রী ও চালক সবারই উপকার হবে। তাহলে মহাসড়কের ওপরেই যাত্রীদের ওঠানামা করা লাগবে না। স্বাচ্ছন্দ্যে সবাই পরিবহনে উঠতে ও নামতে পারবে।’ কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, খুব শীঘ্রই পৌর বাস টার্মিনাল চালু করা হবে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোহাম্মদ সজীব বলেন, ‘কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করার সময় পরিকল্পনার অভাব ছিল। সেখানে কাউন্টার প্রয়োজন অন্তত ৩০টি, কিন্তু নির্মাণের সময় বাস কাউন্টার তৈরি করেছে মাত্র ৭টি। বিপুল সংখ্যক কাউন্টার না থাকায় এটি চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বাস টার্মিনালটি শীঘ্রই চালুর লক্ষ্যে কালকিনি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।’