![এক সপ্তাহ পার, খুদে পাঠকদের প্রথম দিন এক সপ্তাহ পার, খুদে পাঠকদের প্রথম দিন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/1-2502071648.jpg)
.
এক সপ্তাহ পার করল অমর একুশে বইমেলা। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হয়েছিল। তার পর সাত দিন চলে গেছে। সপ্তম দিনটি ছিল শুক্রবার, মানে, ছুটির দিন। ফলে এদিন লোক সমাগম অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। বিভিন্ন বয়সী মানুষ মেলায় এসেছিলেন। এখানে ওখানে ছোট ছোট জটলাও দেখা গেছে। তবে খ্যাতিমান লেখক কবি সাহিত্যিক, এমনকি প্রকাশকদের অনেককেই পাওয়া যায়নি। ফেসবুক বা টিকটকে পরিচিতি পাওয়া লোকেরা দলবল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
মেলার রীতি অনুযায়ী শুক্রবার শিশুপ্রহরের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বিকেল ৩টার পরিবর্তে ১১টায় খুলে দেওয়া হয় প্রবেশদ্বার। তখন থেকেই আসতে শুরু করে খুদেরা। বাবা-মা এবং অভিভাবকদের হাত ধরে আসতে দেখা যায় তাদের। মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গতবারের মতোই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাংলা একাডেমি সংলগ্ন জায়গাটিতে আলাদা করে শিশু চত্বরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ময়ূরপঙ্খী, ঝিঙেফুল, শব্দশিল্প প্রকাশন, শিশুরাজ্য, ফুলঝুড়ি, পঙ্খীরাজ, শিশুবেলা, চিরন্তন প্রকাশ, শৈশব প্রকাশ, কাকাতুয়াÑ আরও কত নাম! বাংলা একাডেমির একটি স্টল আছে। সব স্টলেই শিশুতোষ বই। মজার মজার ক্যারিকেচার করা বইগুলো বিশেষ টানছিল বাচ্চাদের। বাবা মায়ের আঙুল ছেড়ে দিয়ে নিজের মতো করে দৌড়াতেও দেখা গেছে দূরন্ত ছেলে-মেয়েদের। তারা নিজেরাই নিজেদের পছন্দের বই খুঁজে বের করে ফেলছিল!
তবে সিসিমপুর সক্রিয় না হওয়ায় এবার শিশুরা যারপরনাই হতাশ। বিগত বছরগুলোতে বইয়ের পাশাপাশি শিশুচত্বরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল সিসিমপুর। টেলিভিশনে দেখা সিসিমপুরের চরিত্রগুলো অনেকটাই বাস্তবে ধরা দিত বইমেলায়। ইকরি হালুম টুকটুকির সঙ্গে খেলায় মেতে উঠতো খুদে ভক্তরা। এবার সেই প্রাণবন্ত আয়োজন নেই। চোখে পড়েনি। বাবা-মায়েরা সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে খুঁজে না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, বাচ্চাদের সিসিমপুরের কথা বলেই মেলায় এনেছি। বই বললে তো ওরা আকর্ষণ বোধ করবে না। এখন এসে দেখি টুকটুকি হালুম কেউ নেই। সামনের দিনগুলোতে টুকটুকি হালুম ইকরির সঙ্গে খেলতে চায় বলে জানিয়েছে শিশুরাও।
এদিকে, সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার। তিন শাখায় ৭৫০ জন প্রতিযোগী চিত্রাঙ্কনে অংশ নেয়। একই সময় অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেয় ৪৩৩ জন প্রতিযোগী। ১৮৪ নতুন বই ॥ মেলার সপ্তম দিনে সর্বাধিক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এদিন ১৮৪টি নতুন বইয়ের তথ্য দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
মূল মঞ্চের আলোচনা ॥ এদিন মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : গোলাম মুরশিদ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামজীর আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বরোচিষ সরকার এবং গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ। সভাপতিত্ব করেন মোরশেদ শফিউল হাসান।