ছবি: সংগৃহীত
আগামী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে ‘ভ্যালেন্টাইন’স উইক’, যা শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত ভালোবাসা দিবসের মাধ্যমে। এই সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কিছু নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে, যেমন—কোন দিনটি হাগ ডে, আবার অন্যদিনটি প্রোপোজ ডে। সবশেষে, আসে ভ্যালেন্টাইন’স ডে, অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
বিশ্বব্যাপী এই দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবেই বেশি পরিচিত, তবে বাংলাদেশে একে বসন্ত উৎসব ও পহেলা ফাল্গুনের দিন হিসেবেও উদযাপন করা হয়। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ দিনটি বসন্তের আগমনের সূচনা হিসেবে পালন করা হয়, আর বাংলাদেশে মানুষ ভালোবাসা এবং বসন্ত উভয়ই উদযাপন করে থাকে।
এছাড়া, এ বছর শাবান মাস শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। সে কারণে, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পবিত্র শবে বরাত পালন হবে। এটি মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রজনী, যেখানে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও মাগফিরাতের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসেও এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। বহু বছর ধরে, এই দিনটি বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবেও পরিচিত। ১৯৮২ সালে, বাংলাদেশে তৎকালীন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
এছাড়া, প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় সুন্দরবন দিবস। ২০০১ সালে, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এভাবে, ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ দিন হিসেবে বহুমাত্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নুসরাত