ছবি: সংগৃহীত
একটি ঘড়ি, যার কাঁটা ১২টায় পৌঁছালেই নাকি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে! এটি কোনো কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবেই বিজ্ঞানীদের তৈরি এক বিশেষ ঘড়ির হিসাব। এই ঘড়িকে বলা হয় "ডুমসডে ক্লক" (Doomsday Clock), যা মূলত পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট ও মানবসভ্যতার বিপদের প্রতীক।
ডুমসডে ক্লক হলো একটি প্রতীকী ঘড়ি, যা ১৯৪৭ সালে পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন। এই ঘড়ির সময় বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত বিপদ ও অন্যান্য মহাবিপর্যয়ের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে সেট করা হয়। যখন ঘড়ির কাঁটা ১২টার কাছাকাছি চলে আসে, তখন বোঝানো হয় যে, পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে!
বর্তমানে ঘড়ির সময় কত?
২০২৪ সালে বিজ্ঞানীরা এই ঘড়ির কাঁটাকে ১২টার মাত্র ৯০ সেকেন্ড দূরে নিয়ে এসেছেন, যা ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটজনক মুহূর্তের ইঙ্গিত দেয়। এর পেছনে রয়েছে— পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা, দুর্যোগ ও প্রযুক্তিগত বিপদের আশঙ্কা।
এই ঘড়ি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী নয়। বরং, এটি বিজ্ঞানের একটি প্রতীক, যা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করার জন্য তৈরি হয়েছে। যখন বিশ্বে যুদ্ধ, পরিবেশগত বিপর্যয় বা সংকট বাড়ে, তখন ঘড়ির কাঁটাকে ১২টার দিকে এগিয়ে আনা হয়। আবার যদি শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, তাহলে কাঁটা পেছনে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ডুমসডে ক্লক কোনো জাদু বা অলৌকিক বিষয় নয়, এটি মানব সভ্যতার বর্তমান অবস্থা বোঝানোর একটি মাধ্যম। তাই, এই ঘড়ির সময় পরিবর্তনই বলে দেয়, আমরা কতটা নিরাপদ বা ঝুঁকির মধ্যে আছি।
শিলা ইসলাম