ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী থাকে। তবে কিছু বিরল দেশ রয়েছে যেখানে কোনো সুরক্ষা বাহিনী নেই। এসব দেশ শান্তি বজায় রাখতে নির্ভর করে কৌশলগত চুক্তি, নিরপেক্ষতা এবং বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতার ওপর।
এই প্রতিবেদনে বিশ্ব শান্তি সূচক এবং ঐতিহাসিক গবেষণার ভিত্তিতে এমন পাঁচটি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে কোনো নিরাপত্তা বাহিনী নেই।
১. আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের কোনো নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই। দেশটি নিরাপত্তার জন্য ন্যাটো জোট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের চুক্তির ওপর নির্ভর করে। আইসল্যান্ডকে পৃথিবীর অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
২. লিচটেনস্টাইন
লিচটেনস্টাইন সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার মাঝখানে অবস্থিত একটি ছোট দেশ। ১৮৬৮ সালে তারা তাদের সেনাবাহিনী তুলে দেয় কারণ এটি পরিচালনা ব্যয়বহুল ছিল। দেশটি যে কোনো ধরনের সংঘাতের ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডের ওপর নির্ভর করে।
৩. ভ্যাটিকান সিটি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট স্বাধীন দেশ ভ্যাটিকান সিটির কোনো প্রচলিত সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনী নেই। এটি মূলত সুইস গার্ড দ্বারা সুরক্ষিত, যারা পোপকে রক্ষার শপথ গ্রহণ করে। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে ইতালির পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা করে।
৪. মোনাকো
ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় অবস্থিত মোনাকোর কোনো প্রচলিত সামরিক বাহিনী নেই। তাদের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ফ্রান্সের ওপর নির্ভরশীল। ফ্রান্সের সাথে করা একটি চুক্তি অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে ফ্রান্স মোনাকোকে রক্ষা করবে।
৫. অ্যান্ডোরা
ফ্রান্স এবং স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরার নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই। দেশটি প্রতিরক্ষার জন্য এই দুই শক্তিশালী প্রতিবেশীর ওপর নির্ভর করে। কোনো গুরুতর হুমকির ক্ষেত্রে তারা ফ্রান্স ও স্পেনের সহায়তা পায়।
এসব দেশ প্রমাণ করে যে কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও একটি দেশ সমৃদ্ধ হতে পারে।
নাহিদা