আমি সাংবাদিকতা করছিলাম, এমন সময় বিবিসির মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাই। এটি আমার জন্য ছিল স্বপ্নের চাকরি। তবে একসময় বুঝতে পারলাম, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমার ভবিষ্যৎ বেশি উজ্জ্বল। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম পুরোপুরি এই পেশাতেই মনোযোগ দেব। কিন্তু এর জন্য প্রচুর চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।
আমার অফিসে একসময় একটি নোটিশ জারি হলো যে, অফিসের কেউ ইউটিউবিং করতে পারবে না। চাকরি এবং ইউটিউবিং একসঙ্গে চালানো নিষিদ্ধ করা হলো। আমি এমডির সঙ্গে কথা বললাম, কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। বুঝতে পারলাম, আমাকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।
তখন আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে প্রায় ৩-৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছিল। তাই সাহস নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম চাকরি ছেড়ে দেব। ২০২১ সালের জুলাইয়ে অফিসে রিজাইন জমা দিয়ে বাসায় এসে প্রথম ভিডিও আপলোড করি।আমার বাবা এই সিদ্ধান্তে প্রথমে একদমই রাজি ছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন আমি একটি স্থায়ী আয়ের চাকরি করি। তবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ইউটিউবিং-এ আমার ভবিষ্যৎ আছে। ধীরে ধীরে বাবাকে বোঝালাম, আর নিজেকে আরও প্রমাণ করার জন্য কাজ শুরু করলাম।
সফল হতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দিনের পর দিন কনটেন্ট তৈরি, শুটিং এবং এডিটিং করেছি। এটি শুধু একটি চাকরি নয়; এটি আমার জন্য আবেগের জায়গা। এখন আমার ইউটিউব চ্যানেলের ২৩৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, চাকরি ছাড়ার আগে নিজের দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত। কেবলমাত্র একটি পরিকল্পনা এবং সঠিক প্রস্তুতি থাকলে নতুন পেশায় সফল হওয়া সম্ভব।
রাজু