ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

প্রাণের বইমেলা

রাফি আনোয়ার

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

প্রাণের বইমেলা

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বইমেলা। এ বইমেলার সমস্ত আয়োজন করে থাকে বাংলা একাডেমি। প্রকাশক সমিতি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ মেলা আয়োজনে সাহায্য করে থাকে। এখানে সাড়ে ছয়’শ থেকে সাত’শ প্রকাশনী তাদের স্টল নিয়ে হাজির থাকেন প্রতিটি মেলায়। একসময় প্রকাশক বা প্রকাশনীর উপস্থিতির সংখ্যা এত এত ছিল না। আস্তে আস্তে বছর বছর করে প্রকাশনীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাড়তে বাড়তে এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতশ’র মতো।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়। নতুন বই প্রকাশ হয় যেগুলো- এর মধ্যে কবিতার বই, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনি, গবেষণা ধর্মী, অনুবাদ, কার্টুন, বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় থাকে। ছোটদের বইয়ের সংখ্যাও খুব কম হয় না কিন্তু। বড়দের তো আছেই এবং হয়ই।
বইমেলা আগে একসময় হতো বাংলা একাডেমির নিজস্ব জায়গায়। একাডেমির মাঠেই হতো এ মেলার আয়োজন। কিন্তু মাঠের জায়গাটি প্রয়োজনের  তুলনায় খুব খুব ছোট। তাই খুব বেশি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করতে পারতো না। আবার যারা অংশগ্রহণ করতো তাদের স্টলের সাইজও অনেক অনেক ছোট ছিল। ছোট স্টলে অল্প কিছু বই নিয়ে বসতে হতো প্রকাশকদের। যারা বই কিনতে আসতো তারাও মনের মতো বইগুলো খুঁজে নিতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়ে যেত। ফলে প্রকাশক এবং পাঠক মিলে উভয়েরই সমস্যা হতো অনেকটা।
কবি-সাহিত্যিক-লেখক এবং বেশিরভাগ প্রকাশকের দাবি ছিলÑ মেলাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হোক। যেহেতু বাংলা একাডেমির সামনেই, রাস্তার ওপারেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেহেতু উদ্যানের বড় জায়গায় আয়োজন করা যায় মেলার। একসময় এ দাবিটি অনুমোদন হলো সরকারের তরফ থেকে। ফলে শুরু হলো বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বইমেলা পেলো নতুন একরূপ। এর আয়তন হলো বিশাল থেকে বিশালতর। যেহেতু বড় জায়গায় মেলা তাই মেলায় প্রকাশকদের উপস্থিতিও বাড়তে লাগল। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাও বাড়তে লাগল প্রচুর। একইসঙ্গে পাঠকদের উপস্থিতিও বেড়ে গেল বহু বহুগুণ।

×