ফারজানা ইয়াসমিন। যশোরে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। ২০১৬ তিনি শখের বশে যশোরে মাশরুম চাষ শুরু করেন। সফলতা পাওয়ায় এরপর বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন ২০১৯ সাল থেকে। তিনি স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও বিভাগীয় শহরে মাশরুম বিক্রি করা শুরু করেন। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি মাশরুম সেন্টারে প্রথমে ১৫ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তার মাশরুম সেন্টারে কাজ করেন ৬০ জন। তার মাশরুম প্রজেক্টের নাম ‘বৃষ্টি মাশরুম সেন্টার’। ২০১৯ সালের শেষের দিকে থেকে মাশরুমের ওপর ফ্রি প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন তিনি। ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে ৩০ জনের ব্যাচ।
এরপর ২০২০ সাল থেকে দেশীয় খাবার হোম মেইড আচার, ঘি, মধুময় বাদাম, পাটালি/গুড় এগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করেন ফারজানা ইয়াসমিন। আর এ গুলো অনলাইন ও অফলাইনে সেল করতে থাকেন। এছাড়া যশোরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মশালায় বৃদ্ধি ফুড বাজার নামে এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাসার তৈরি রান্না খাবার সরবরাহ করা শুরু করেন। এখানেই ৪০ জন মহিলা কর্মী কাজ করেন।
ফারজানা ইয়াসমিনের ইচ্ছা সমাজসেবা করা। সেই লক্ষ্যে ২০২১ সালে ‘জাগ্রত যশোর যুব মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে যুব ও মহিলাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তিনি। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৬০০-৭০০ জন যুব ও মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করেছেন। এসব কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বাল্য বিবাহরোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করে সচেতনার কাজ করছেন তিনি। এছাড়া কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ, বীজ ও জৈব সার বিতরণ করা হয়।
যুব সমাজ অহেতু চাকরির পেছনে না ছুটে তাদের মেধা খাটিয়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করুক এটাই তিনি প্রত্যাশা করেন। ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, নিজে কাজ করব আরও ১০ জনকে কাজের সুযোগ করে দেব। এভাবে তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগায়ে সামাজ বদলের তিনি স্বপ্ন দেখেন। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এছাড়া ২০২০ সালে যশোর থেকে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন ফারজানা ইয়াসমিন।
ফারজানা ইয়াসমিন সফল উদ্যোক্তা
শীর্ষ সংবাদ: