ভারতের রিপাবলিক বাংলার উপস্থাপক মূলক রঞ্জন বর্তমানে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে আলোচিত এবং সমালোচিত। রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি বারবার বাংলাদেশ দখল করে নিচ্ছেন!
বাংলাদেশের প্রতি ময়ূখ রঞ্জনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা, আর তার মাধ্যমে যে তথ্যপ্রচারের খেলা চলছে, তা আজকের মিডিয়া জগতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তার বক্তব্য ও উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি এক ধরনের উস্কানিমূলক ভাবনা প্রতিষ্ঠা করছেন যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, যেমন জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্টের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।ময়ূখ রঞ্জনের ভাষ্য এক প্রকারের কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে।
রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলটি একদিকে যেমন ভারতের শীর্ষ মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেমনি এর মাধ্যমে অনেক সময় গরম আলোচনা এবং বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, যা টিআরপি বৃদ্ধির অন্যতম মূল উপায়।
ময়ূখ রঞ্জন তার শো এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক মন্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যা দেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে প্রভাব ফেলছে। এর ফলে, উস্কানি এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষত যখন তাকে এমন বক্তব্যে সমর্থন জানানো হয় যা পুরোপুরি সঠিক নয়।
এ বিষয়ে যখন ভারতের কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না প্রশ্ন করা হলে, ফ্যাক্ট চেকার আজতক বাংলা এর সুরাউদ্দিন মন্ডল বলেন, "এ ধরনের মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো শুধুমাত্র টিআরপি বাড়ানোর জন্য এই ধরনের বিতর্কিত এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দর্শকের আগ্রহ আকর্ষণ করা, যাতে তারা এই ধরনের শো দেখতে আগ্রহী হয়।"
সামাজিক মাধ্যমে ময়ূখ রঞ্জনের প্রোগ্রামগুলোতে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া, তাকে যেন আরো অনেক বেশি বিতর্কিত করে তোলে। দর্শকরা এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য পছন্দ করেন, আর তা থেকেই প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের দর্শকসংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায়, যদি না সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তবে এ ধরনের মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আরও বিপজ্জনক হতে পারে, যা পুরো ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/y5vtmddu
আফরোজা