.
আবারও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজি চালকরা। এর ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত মানুষ। পরে দুপুর দুইটার দিকে বিআরটিএর আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে চলে যান তারা।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, ওরা এর আগেও একাধিকবার একই দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন। বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল সরোয়ার জানান, দুপুর দেড়টা থেকে সিএনজি চালকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। তিনি বলেন, দুইটার দিকে বিআরটিএর আশ্বাসে সিএনজি চালকরা সড়ক ছেড়ে যান।
এরপর থেকে সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, দুপুরে বনানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সদর দপ্তরের সামনের রাস্তায় শুয়ে অবরোধ করেন তারা। এতে করে মহাখালীগামী যানবাহনগুলো সড়কে আটকে যায়। বিভিন্ন যানবাহনে আটকে থাকা যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিআরটিএর নির্ধারিত ঢাকা মেট্রোর সিএনজি অটোরিক্সার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা অবিলম্বে কার্যকর করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সিএনজি অটোরিক্সা চালক ঐক্য পরিষদের চালকরা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ২০০৭ সালে ঢাকা মেট্রোর জন্য সরকার অনুমোদিত পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা অবিলম্বে চালকদের নামে রেজিস্ট্রেশন (ব্লু বুক) প্রদান করতে হবে, ঢাকা শহরের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের নামে অনুমোদন দিতে হবে, সিএনজি অটোরিক্সা চালক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে, প্রশাসনের সব ধরনের চালক হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান নির্ধারণ না করে নো পার্কিং মামলা বন্ধ করতে হবে, লেন, বাইলেন করে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল করতে দিতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং বিধিমালা ২০২৩ এর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে।