ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১

শত্রুদের মাংস খেয়ে নিত যে নরখেকো শাসক!

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

শত্রুদের মাংস খেয়ে নিত যে নরখেকো শাসক!

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে নিষ্ঠুর শাসকদের কথা উঠলে প্রথমেই আসে হিটলারের নাম। তবে, শুধুমাত্র তিনিই কি ছিলেন নৃশংসতার প্রতীক? ইতিহাস সাক্ষী, উগান্ডার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইদি আমিন ছিলেন আরও এক ভয়াবহ শাসক, যার নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

১৯২৫ সালে উগান্ডার কোবোকো অঞ্চলে কাকুয়া উপজাতিতে জন্ম ইদি আমিনের। তার শৈশবেই উপজাতীয় রীতির প্রভাব তাকে নিষ্ঠুর করে তোলে। একসময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে তিনি নিজের নিষ্ঠুরতার নজির স্থাপন করেন। বিদ্রোহীদের ভয় দেখাতে জীবিত মানুষকে মাটিতে পুঁতে ফেলা কিংবা লাশ টুকরো করে কুমিরকে খাওয়ানোর মতো কাজ ছিল তার পরিচিতি।

উগান্ডার স্বাধীনতার পর প্রেসিডেন্ট মিল্টন ওবোটের ঘনিষ্ঠ হলেও ক্ষমতার লোভে আমিন তাকে উৎখাত করেন। ১৯৭১ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। শুরু হয় উগান্ডার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।

ইদি আমিন তার শাসনামলে অসংখ্য এশীয় ও স্থানীয় উপজাতিদের ওপর অত্যাচার চালান। সন্দেহভাজন বিরোধীদের ধরে এনে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো। কক্ষগুলোতে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার বা ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর পদ্ধতিতে মানুষ হত্যা ছিল নিয়মিত ঘটনা।

তবে যা সবচেয়ে বিভীষিকাময় তা হলো, শত্রুদের মাংস খাওয়া। সমালোচকরা তাকে "উগান্ডার কসাই" বলে ডাকতেন। লাশের সঙ্গে কথা বলা বা তাদের পাশে ঘুমিয়ে পড়া ছিল তার অমানবিক আচরণের অংশ।

১৯৭৯ সালে তানজানিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে তিনি পালিয়ে যান। লিবিয়া হয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই ২০০৩ সালে মৃত্যু হয় তার। ইতিহাসে এই শাসক চিরকাল নৃশংসতার প্রতীক হয়ে থাকবেন।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/RJM2ksPJLsQ?si=2w8Iv4C-qJ4HwLDy

এম.কে.

×