ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

জেন এক্সরা জীবনে যে কঠিন শিক্ষা পেয়েছে

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

জেন এক্সরা জীবনে যে কঠিন শিক্ষা পেয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

জেন এক্স বলতে যারা ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্মেগ্রহণ করেছে এবং তারা এই বছর ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। জেন এক্সকে প্রায়ই ভুলে যাওয়া মাঝারি সন্তান বলা হয়, যা বুমারদের এবং মিলেনিয়ালদের মধ্যে আটকে পড়েছে। এই প্রজন্মের অনেকেই নিজেদের মতো করে বড় হয়েছে, অনেক জীবনবোধ কঠিনভাবে শিখে নিতে হয়েছে।

জেন এক্স খুব তাড়াতাড়ি তাদের স্বাধীনতার অনুভূতি তৈরি করেছিল, আত্মবিশ্বাস এবং সন্দেহবাদিতা আঁকড়ে ধরেছিল। আর যত বয়স বাড়ছে, পুরনো প্যাটার্নগুলি ত্যাগ করা তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

এখানে জেন এক্সদের ১০টি জীবনবোধ আলোচনা করা হল, যা জেন এক্সকে কঠিনভাবে শিখতে হয়েছে:

 অন্যদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ নয়

জেন এক্স কঠিনভাবে যে জীবনবোধটি শিখেছে তা হলো, অন্যদের মতামত যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, আসলে তা ততটা নয় যতটা আপনি নিজেকে ভালোবাসেন। 

একমাত্র আপনি নিজেই নিজেকে বাঁচাতে পারেন

আরেকটি কঠিন শিক্ষা যা জেন এক্স শিখেছিল তা হলো, আপনি ছাড়া কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। তারা এই শিক্ষা সরাসরি বাস্তব জীবনে পেয়েছে। তারা বেড়ে উঠেছিল বাড়িতে বাবা-মায়ের তেমন উপস্থিতি ছাড়াই, অনেকেই স্কুল শেষ হওয়ার পর নিজেকে দেখাশোনা করতে শিখেছিল।

 

কাজের এবং ব্যক্তিগত জীবনের সঠিক ভারসাম্য ছাড়া সফলতা আসলে সফলতা নয়

জেন এক্সরা জানে যে শুধুমাত্র কাজের মাধ্যমে জীবনে সফলতা আসবে না, যদি ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য না থাকে। তারা ক্যারিয়ার এবং প্রফেশনাল সফলতার জন্য অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছে, কিন্তু শেষে তারা বুঝতে পেরেছে যে, জীবনকে উপভোগ করতে হলে কাজের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখা জরুরি।

 

সম্পর্কের জন্য ভঙ্গুরতা (Vulnerability) জরুরি

জেন এক্স কঠিনভাবে শিখেছে যে, কোনো সম্পর্কই সুসম্পর্ক হতে পারে না যদি সেখানে ভঙ্গুরতা না থাকে। ছোটবেলায় তারা এমন শিক্ষা পেয়েছিল যে, অনুভূতি প্রকাশ করা দুর্বলতার লক্ষণ, যা তাদের সম্পর্ক গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।

মনিষা মিম

×