.
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ, জুলাই আন্দোলনে জড়িতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ও গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিল শুরু হয়। এ সময় তারা তিনটি দাবি জানান। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজিব এম খায়রুল ইসলাম ইনকিলাব মঞ্চের তিনটি দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা কাকরাইল মোড় থেকে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে ৭ দিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের তিন দফা দাবি আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় আমরা সচিবালয় ঘেরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা যে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে। ২. আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা থেকে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটিতে থাকা সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। ৩. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব জুলাই যোদ্ধাদের জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জানতে চাইলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা বলছি, বাংলাদেশে দুই হাজার শহীদ এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে আহতে আওয়ামী লীগ জড়িত। যতক্ষণ পর্যন্ত দুই হাজার শহীদ হত্যাকান্ডের বিচার শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল থাকবে। যেদিন হত্যাকান্ডের বিচার শেষ হবে, চব্বিশের বিজয়ের মসনদের মালিক শহীদ পরিবার এবং দেশের জনগণ যদি মনে করে তা হলে তারা নিবন্ধন পেতে পারে, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তার আগে এই দলটির নিবন্ধন বাতিল থাকা উচিত।
গত ১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জখম হয়ে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান। ১৮ ডিসেম্বর পূর্বাচলের লেক থেকে শিক্ষার্থী সুজানা আক্তার (১৭) ও সাইনুর রশিদ কাব্য (১৬) নামে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইদিন চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামে আন্দোলনে যুক্ত আরেক শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হন। এসব হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা যুক্ত রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।