ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব তরুণদের মধ্যে এক অনুপ্রেরণার নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো সময়কে তিনি তার জীবনের সবচেয়ে রোমান্টিক ও নস্টালজিক অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এখানেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। আমি প্রথম বর্ষে ছাত্রশিবিরের সদস্যপদ গ্রহণ করি এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এই সময়টা ছিল অসাধারণ। আমার চিন্তা ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রশিবির গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।"
বাংলাদেশ ত্যাগের প্রসঙ্গে তিনি জানান, মূলত একাডেমিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিনি দেশ ছাড়েন। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবকেও অস্বীকার করা যায় না।
তিনি বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর আমার সামনে দুটি অপশন ছিল। এক, শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে পরে পিএইচডি করতে যাওয়া। আরেকটি ছিল সরাসরি পিএইচডির জন্য বাইরে যাওয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষক নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল স্পষ্ট। তারা কোনো সার্কুলারই দিচ্ছিল না, আর দিলেও আমাকে নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হবে না- এটা বুঝতে পেরে আমি আবেদন না করে বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. গালিব বলেন, "আমি অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম ছিলাম। আমাদের বিভাগে এই নিয়ম ছিল, প্রথমস্থান অধিকারীরা সাধারণত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন ছিল। বুঝতে পেরে আমি আবেদন না করে পিএইচডির প্রস্তুতি শুরু করি।"
তিনি আরও বলেন, "যখন আমার পিএইচডি শেষ হয়, তখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফ্যাসিবাদের দিকে এগোচ্ছিল। এমন অবস্থায় ফিরে এসে আবেদন করাটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমার অনেক বন্ধুই আবেদন করেছিল, কিন্তু হতাশ হয়েছিল।"
এম.কে.