বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয় রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরীয়ায় চালু হওয়া অনেকগুলো আইন। যার অধিকাংশই আইন ভয়ংকর। এর মধ্যে অনেকগুলো আইন নাগরিকদের বাধ্যমূলকপালন করতে হয়।
এই দেশে এমন কিছু আইন চালু আছে, যা জানলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু অদ্ভুত আইন, যা এই রাষ্ট্রে বহাল।
উত্তর কোরিয়ার বেশিরভাগ আইনই ভয়ংকর। যা মানতে সবাই বাধ্য। অনিচ্ছা কিংবা জোর করেই আইন পালনে বাধ্য হওয়ায়, অনেকের কাছেই তা কষ্ট করে গিলে ফেলার মতো অবস্থা তৈরি হয়।
এসব আইনের মধ্যে একটি আইন হচ্ছে, নিজের চুলে পছন্দ মতো হেয়ারকাট দেওয়া যাবে না। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটাই উত্তর কোরিয়ার আইন। এ ছাড়া যে কেউ চাইলেই অন্য দেশের গান শুনতে পারে না। এমনকি নিজ দেশের বাইরে সামান্য ফোন কল দেওয়াও বিরাট বড় অপরাধ।
শুধু এই আইন নয়, রয়েছে আরও বেশকিছু অস্বাভাবিক আইন, যা ক্ষেপাটে শাসক হিসেবে পরিচিত কিম জং এর দেশে প্রচলিত। সাধারণত ভিন্ন দেশের খবরাখবর পেতে আমরা টেলিভিশন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কিম জং উনের দেশে চলে না এই সুবিধা।
জানা যায়, সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার তো করাই যায় না, টেলিভিশনেও দেখা যায় না অন্য দেশের কোন চ্যানেল। জানা যায়, মাত্র ৪টি চ্যানেল দেখার অনুমতি রয়েছে জনগণের। সেই চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।
উত্তর কোরিয়ার আরেকটি অদ্ভুত আইন হচ্ছে, সে দেশে কেউ অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয় তার ৩ প্রজন্মকে। মাথা পেতে নেওয়া এই শাস্তি ভোগ করতে হয় নিরীহ দাদা-দাদী, বাবা-মা এমনকি নিজের সন্তানকেও।
নিজের অঢেল অর্থ থাকলেও যে কেউ বাড়ি করে থাকতে পারবে না রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে। সেখানে আইফোন ব্যবহারেও রয়েছে কঠিন নিষেধাজ্ঞা। তবে বিশেষ বাধা নেই নিজ দেশের তৈরি ডিভাইস ব্যবহারে।
প্রচুর ভ্রমণের সুযোগ থাকলেও কেউ ভ্রমণের স্বাদ নিতে পারবে না, এমন আইনও রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। সবকিছু মিলিয়ে যেন গোপন, বদ্ধ জনপদ হিসেবেই টিকে আছে দেশটি।
এসআর