ফেরাউন
৩২০০ বছর আগের কথা। মিশরের বুকে রাজত্ব করতেন এই নিষ্ঠুর শাসক, ফেরাউন। ক্ষমতার মোহে অন্ধ এই শাসক শুধুই নিজের সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে হাজারো নিরপরাধ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিলেন।
কিন্তু আপনি কী জানেন কি? বিজ্ঞানীরা এই ফেরাউনের যৌবনকালের চেহারা পুনর্গঠন করেছেন! আর এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরো চমকপ্রদ তথ্য, যা শুনে অবাক হবেন আপনিও।
কিভাবে একদল গবেষক তার ৪৫ বছরের যৌবন ফিরিয়ে দিয়েছেন?
এই গবেষণায় এসেছে আরো চমক চমকপ্রদ তথ্য। যা শুনে অবাক হবেন আপনিও। যেখানে ফেরাউনের নামটি শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অত্যাচারী শাসকের নাম। ইতিহাস থেকে জানা যায়, তিনি নিজেকে স্রষ্টা বলে দাবি করতেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে একসময় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার রাজ্যে যত নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করতো তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হত। কিন্তু এত বছর পর এই ইতিহাস যেন হয়ে উঠছে বিজ্ঞানের কল্যাণে।
আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাহার সুলিন এবং একদল গবেষকরা হাতে নিয়েছেন ফেরাউনের মুখ পুনর্গঠনের কাজ। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল ফেরাউনের মৃত্যুকালের চেহারা থেকে তার যৌবনকালের চেহারা ফিরিয়ে আনা কাজ। প্রথমে সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফেরাউনের মাথার খুলির গঠন বিশ্লেষণ করেন। এরপর মাংসপেশী চর্বি ও ত্বকের স্তর যোগ করে তৈরি করে একটি ত্রিমাত্রিক মডেল।
গবেষণার ফলাফল অবিশ্বাস্য। ৯০ বছরের ফেরাউনের বার্ধক্য কে সরিয়ে বেরিয়ে এলো ৪৫ বছর বয়সেই এক শক্তিশালী শাসকের ছবি। যদিও চোখ, ত্বক ও চুলের ধরণ নিয়ে কিছুটা অনুমান করতে হয়েছে। তবে, ইতিহাস ও মমির সংরক্ষিত অংশ নিশ্চিত হওয়া গেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বিজ্ঞানীরা তার মাথার গঠন ডিএনএ বিশ্লেষণ এবং থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেনেছেন। তিনি ছিলেন মাঝারি উচ্চতা মানের এক যুবক। মুখের গঠন সরু চোয়ালের। মাথার আকৃতি লম্বাটে। তবে তার জীবনের গল্প কিছুটা করুন। জন্মগত রুটির পাশাপাশি হাড়ের সমস্যা ভোগতেন তিনি।
এছাড়া শেষ বয়সে ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফেরাউনের পুনর্গঠিত মুখাবয়ব শুধু নিষ্ঠুর শাসকের ছবি নয়। তাকে মানবিক ভাবে দেখার এক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন। এই আবিষ্কার প্রাচীন ইতিহাস কে যেন আরো বাস্তব করে তুলেছে। বিজ্ঞানীরা আমাদের শিখিয়েছে অতীত কখনো হারায় না।
শহীদ