পিরামিড হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ও বিস্ময়কর স্থাপত্যের নিদর্শন, যা মানব সভ্যতার দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সাক্ষী। মিশরের পিরামিডগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত। এগুলো সাধারণত ফারাওদের সমাধি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক পিরামিডের নির্মাণ, ইতিহাস এবং এর অভ্যন্তরে কী রয়েছে।
পিরামিড কী দিয়ে বানানো হয়? পিরামিড নির্মাণে সাধারণত চুনাপাথর, গ্রানাইট এবং বালি ব্যবহার করা হয়। গিজার গ্রেট পিরামিডের মতো কিছু পিরামিডে বিশাল আকৃতির চুনাপাথরের ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলোর ওজন কয়েক টন পর্যন্ত হতে পারে। পাথরগুলো মজবুতভাবে সংযুক্ত করে নির্ভুল গঠন তৈরি করা হয়, যা আজও টিকে রয়েছে।
পিরামিডের ভিতরে কী থাকে?
পিরামিডের অভ্যন্তরে ফারাওদের সমাধি, মূল্যবান সম্পদ এবং ধর্মীয় প্রতীক রাখা হত। ফারাওদের মৃত্যুর পর তাদের মরদেহ সংরক্ষণ করা মমি হিসেবে পিরামিডে রাখা হতো। এছাড়া দেওয়ালে খোদাই করা থাকে প্রাচীন মিশরের ধর্মীয় রীতি ও ফারাওদের জীবনের বিবরণ। কিছু পিরামিডে গুপ্ত কক্ষ ও সরু পথও রয়েছে, যা দস্যুদের হাত থেকে ধন-সম্পদ রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পিরামিড কত বছরের পুরনো? মিশরের প্রাচীন পিরামিডগুলো প্রায় ৪৫০০ বছর আগের। গিজার গ্রেট পিরামিড, যা ফারাও খুফুর জন্য নির্মিত হয়েছিল, এটি খ্রিস্টপূর্ব ২৫৬০ সালে তৈরি বলে ধারণা করা হয়। এটি প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি এবং একমাত্র আজও টিকে থাকা স্থাপনা।
কেন পিরামিড বানানো হয়েছিল?
পিরামিড মূলত ফারাওদের সমাধি হিসেবে তৈরি করা হতো। মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল, মৃত্যুর পর ফারাওরা দেবতা হয়ে ওঠেন এবং তাদের আত্মার জন্য একটি চিরস্থায়ী আশ্রয়ের প্রয়োজন। এছাড়া এটি ফারাওদের শক্তি, সম্পদ ও ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। উপসংহার পিরামিড শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি প্রাচীন মিশরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের পরিচায়ক। এর নির্মাণশৈলী ও স্থায়িত্ব আমাদের বিস্মিত করে এবং মানব ইতিহাসে এটি এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। পিরামিডের রহস্য আজও গবেষকদের আকর্ষণ করে চলেছে।
জাফরান