ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেললাইন!

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেললাইন!

মরিশানিয়া এক্সপ্রেস

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারা। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে পড়েছে এই মরুভূমি। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আধুনিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ট্রেন। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ মরিশানিয়ান এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটিতে চড়লে এক টিকিটেই ঘুরে বেড়ানো যাবে গোটা সাহারা।

সাহারার মতো প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় জনমানবহীন অঞ্চল পেরিয়ে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ মরিশানিয়া এক্সপ্রেস পরিবহণ করে চলেছে দেশের অমূল্য সম্পদ।

প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেন মৌরিতানিয়ান এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে ১৯৬৩ সালে। বন্দর শহর নুয়াধিবৌর লৌহখনি থেকে লোহা নিয়ে সাহারা পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে চালু করা হয় ট্রেনটি। প্রতিদিন ২০০টির বেশি বগি নিয়ে ট্রেনটি চলাচল করে। ২০০ বগির মরিশানিয়ান এক্সপ্রেস চালাতে প্রয়োজন পড়ে ৩-৪টি শক্তিশালী লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের।

ট্রেনভর্তি থাকা লোহা বিভিন্ন স্টেশনে নামিয়ে দেওয়াই এর লক্ষ্য। কিন্তু সাহারার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের উপযোগী নয় ট্রেনটি। ৭০৪ কিলোমিটার রেলপথ এই ট্রেনে পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘণ্টা। তাই একে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন বলা হয়।

১৯৬৩ সালে মরিশানিয়ার দ্বিতীয় বন্দর শহর নুয়াধিবৌর লৌহ খনি থেকে লোহা নিয়ে সাহারা পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়।

তবে শুধুমাত্র দীর্ঘ মালবাহী ট্রেনের তকমা জুটলেও এই ট্রেনটিতে চড়লে দেখা যায় নানা অদ্ভুত দৃশ্যও। ট্রেনটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ মাধ্যমও বটে।

সাহারার স্থানীয়েরা চলন্ত মরিশানিয়ান এক্সপ্রেসে ওঠেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য। এ জন্য অবশ্য যাত্রীদের কোনও টিকিট বা অর্থ দিতে হয় না। তবে সাহারার তীব্র গরমের মধ্যে যাত্রী পরিবহণের পক্ষে মোটেও উপযোগী নয় ট্রেনটি।

মরিশানিয়া অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। আর সেই সম্পদ পরিবহণের জন্য তারা বানিয়েছে পৃথিবীর অন্যতম একটি বিখ্যাত রেললাইন। সত্যিই যা এক বিস্ময়।

ইসরাত

×