ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যে শহরে নেই সময়ের মূল্য

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৯:২৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

যে শহরে নেই সময়ের মূল্য

নরওয়ের ‘সোমারয় দ্বীপ’। ছবি:সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু স্থান আছে যেখানে সময়ের প্রতি মানুষের ধারণা একেবারেই আলাদা। নরওয়ের ‘সোমারয় দ্বীপ’  একটি এমন স্থান, যেখানে সময়ের মূল্য প্রায় নেই বললেই চলে। সাগরের কাছে অবস্থিত এই দ্বীপটি অত্যন্ত সুন্দর, যেখানে প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের জীবনযাত্রায় সময়ের চাপ অনুভব করেন না। কিন্তু কেন এখানে সময়ের মূল্য নেই?

 

আসলে সোমারয় দ্বীপে মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৯ দিন সূর্য অস্ত যায় না। আবার মেরুবৃত্তের উত্তরে থাকার কারণে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ সময় সূর্য ওঠে না। রাতের আঁধারেই সময় কাটে সোমারয়বাসীর। আর সেই কারণেই ঘড়ি ধরে কোনও কাজ করেন না সোমারয়ের বাসিন্দারা। সূর্য অস্ত না যাওয়ার কারণে ওই ৬৯ দিনের মধ্যে স্থানীয় সময় যখন রাত ৯টা বাজার কথা, তখনও দ্বীপের মানুষ সাঁতার কাটা, পাহাড় চড়ার মতো কাজ করেন।

পাহাড়়ে ঘেরা সোমারয়ে মূলত মৎস্যজীবীদের বসবাস। মাছ ধরেই জীবনযাপন করেন তাঁরা। মৎস্যশিল্পের জন্য পরিচিতি রয়েছে এই দ্বীপের। সোমারয় দ্বীপে প্রতি বছর পর্যটকদের সংখ্যা কম নয়। এখানে ছোট ছোট অনেক হোটেল এবং কেবিন পর্যটকদের ভাড়ায় দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের জুন মাসে নরওয়ের সরকারি দফতর ‘ইনোভেশন নরওয়ে’ একটি প্রচার অভিযান চালিয়েছিল। ওই প্রচার অভিযানে বলা হয়, সোমারয়ের স্থানীয়রা চান যেন দ্বীপটিকে বিশ্বের প্রথম ‘টাইম-ফ্রি জ়োন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

নরওয়ের সোমারয় দ্বীপে সময়ের জন্য কোনো তাড়া নেই, কিন্তু প্রকৃতির এক অভূতপূর্ব সৌন্দর্য সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। এখানে সময়ের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই ভিন্ন, যেখানে প্রকৃতি, শান্তি এবং ঐক্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সোমারয় দ্বীপ এমন এক স্থান যেখানে জীবন যাপনের একটি আলাদা তত্ত্ব তৈরি হয়েছে, যেখানে সময়ের চিন্তা নেই, শুধু প্রকৃতির ছন্দে জীবন চলতে থাকে।

তাবিব

×