দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং সীমিত কাজের স্বাধীনতা ব্রিটেনের কর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ মানসিক চাপ তৈরি করছে। তাই সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্রের মধ্যে শীর্ষ র্যাংকিংয়ে আছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটেনের হেলথ ফাউন্ডেশন থিংক ট্যাংক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা “কমিশন ফর হেলদিয়ার ওয়ার্কিং লাইভস” এর একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ কঠোর নীতির পরও যুক্তরাজ্যে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায় কোনো অগ্রগতি নেই।
প্রতিবেদনে আরও জাআন যায়, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের কর্মীরা বেশি চাপের মুখোমুখি। তিন-পঞ্চমাংশ কর্মী কঠোর সময়সীমায় কাজ করেন এবং দুই-পঞ্চমাংশ দ্রুতগতিতে কাজ করতে বাধ্য হন। তবে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কর্মী তাদের কাজের গতি নির্ধারণের স্বাধীনতা পান।
প্রতিবেদনের লেখক জনি গিফোর্ড বলেন, “দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, কাজের তীব্র চাপ এবং কাজের স্বাধীনতার অভাবের যে সমস্যা তার সমাধান প্রয়োজন।”
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্মাণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, খুচরা এবং সেবাখাতে কাজের পরিবেশ সবচেয়ে খারাপ। নার্স এবং শিক্ষকদের অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।
কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি সতর্ক করে বলেছে, কঠোর নিয়ম-নীতি, সামাজিক নিরাপত্তা কর বৃদ্ধি এবং সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির ফলে কর্মীর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।
তানজিলা