ছবি সংগৃহীত
স্বাদে যাই হোক না কেন - টক বা মিষ্টি, হোক একটু ভারি খানা বা রোজকার খাবার, শেষ পাতে পরিবারের প্রতি সদস্যের কাছে দইয়ের আবেদন এখনও আছে।
স্বাদের পাশাপাশি দই একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার, তাই যেকোনও বয়সেই খাদ্য হিসেবে এর চাহিদা কম নয়। দুগ্ধজাত অন্যান্য খাদ্যের মতোই দধি হলো প্রোটিনসৃমদ্ধ এবং ৮ আউন্স পরিমাণ দইয়ে আছে ৮ থেকে ১০ গ্রাম প্রোটিন যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক চাহিদার ১৬-২০ শতাংশ। যেহেতু বিশুদ্ধ ছাঁচ ফেলে দই তৈরি করার পর এতে তরল দুধের তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই দই ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। এছাড়া দইয়ে চর্বি কম এবং এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন। এই স্বাস্থ্যকর খাবারটির স্বাস্থ্যকরী গুণ ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এর প্রভাব কেমন, তা-ই দেখা যাক-
উপকারী ব্যাকটেরিয়া
দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরী করে
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতি সংবেদনশীলতা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকর দই।
হাড় মজবুত করে
দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন 'ডি'। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
হজমে উপকার করে
অনেকেই হজমের সমস্যার কারণে দুধ খেতে পারেন না কিন্তু দই খেলে সমস্যা হয় না। খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে দই।
ত্বকের জন্য উপকারী
দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
এ ছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দই খেলে দেহের ওজন কমে। এতে জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিকভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত কম ফ্যাটযুক্ত দই খেলে দৈনিক যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম দরকার হয় তা খুব সহজেই পূরণ হবে। এই তিনটি খনিজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ইসরাত