ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জুমার দিন সবার আগে মসজিদে প্রবেশের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২২ নভেম্বর ২০২৪

জুমার দিন সবার আগে মসজিদে প্রবেশের ফজিলত

বায়তুল মোকাররম মসজিদ। ফাইল ছবি

ঈমান বা বিশ্বাসের পরই ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ নামাজ। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম হিসাব হবে এ নামাজেরই। তার মধ্যেও অন্যমাত্রার মাহাত্ম্য দেওয়া হয়েছে জুমার নামাজকে। পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরাই আছে জুমা (জমায়েত) নামে। জুমার দিন এবং এই দিনের আমল সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এককভাবে অন্য কোনো দিন বা দিনের নামাজ নিয়ে এত বর্ণনা আর পাওয়া যায় না।

কুরআন পাকের ৬২ নম্বর সুরা জুমাতে এই নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহ বলছেন, হে বিশ্বাসীরা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও কেনাবেচা বন্ধ রাখবে। এ-ই তোমাদের জন্য ভালো; যদি তোমরা বোঝো। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)

অর্থাৎ, জুমার নামাজের আজান দেওয়ার পর সব বৈষয়িক কাজ স্থগিত রেখে নামাজ আদায় করার জন্য আল্লাহ সবাইকে মসজিদে কাতারবন্দী হওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এরপরের আয়াতেই বলা হয়েছে, নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)।

অর্থাৎ আল্লাহর হক আদায় করার মাধ্যমে আখিরাতের সম্পদ অর্জন করার পর আবার দুনিয়ার সম্পদ তথা স্বাভাবিক রুটিরুজির অন্বেষণে ছড়িয়ে পড়তে বলা হচ্ছে। আমলের দিক থেকে আল্লাহ তাআলা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন, জুমা তার অন্যতম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানি করল; দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কুরবানি করল; তৃতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং সে যেন একটি ছাগল কুরবানি করল। 

অতঃপর চতুর্থ যে ব্যক্তি মসজিদে গেল, সে যেন একটি মুরগি সদকা করল। আর পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ডিম সদকা করল। এরপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়। (বুখারি: ৮৮১)।

শহিদ

×