বিরিয়ানি।
ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য বিখ্যাত পুরান ঢাকার লালবাগ। সেখানকার খাবারের রয়েছে ভিন্ন এক আভিজাত্য। এই এলাকার বাহারি খাবারের রয়েছে বাহারি নাম। লালবাগে অল্প টাকায় প্রিমিয়াম বিরিয়ানি খেতে চাইলে আসতে পারেন এই তিন বিরিয়ানি হাউজে।
১. আল মদিনা বিরিয়ানি হাউস
লালবাগে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট হলো আল মদিনা বিরিয়ানি হাউস। যেটি রাজার বিরিয়ানি নামেও বেশ পরিচিত। লালবাগ কেল্লা থেকে খানিকটা আগালে আমলীগোলা লেনে এই বিরিয়ানির অবস্থান। যেখানে যেখানে ভালো মানের কাচ্চি, গরুর বিরিয়ানি, গরুর ঝাল পোলাও পাওয়া যায়। এটি মূলত স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত এবং খাবারের মানের কারণে জনপ্রিয়। দাম সাধ্যের মধ্যে। ১৯০ টাকায় গরুর কাচ্চি আর ১৪০ টাকায় গরুর বিরিয়ানি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন একটি গরু প্রসেস করে রান্না করা হয়। গ্রাহকদের কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। অনেকেই খাবারের স্বাদ ও পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট, আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন খাবারের মান নিয়ে। এরপরেও এখানে সবসময় ভীর লেগেই থাকে। এখানে বসে খাওয়ার পাশাপাশি পার্সেল নেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
২. যাইতুন বিরিয়ানি হাউস
পুরান ঢাকার আরেকটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যাইতুন বিরিয়ানি হাউস। এখানকার প্রধান আইটেম হচ্ছে কাবুলী পোলাও এবং আস্ত মুরগীর রোস্ট। এছাড়া রয়েছে কাচ্চি বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও পরিবেশন করা হয়। খাশির মাংসের কবুলী পোলাওয়ের দাম ৩৫০ টাকা। বিভিন্ন আইটেমের বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও পাওয়া যায় ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে।
রেস্টুরেন্টটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সুস্বাদু খাবারের জন্য পরিচিত। এটি লালবাগের চৌধুরীবাজারে অবস্থিত। এখানেও সবসময় ভীর লেগেই থাকে। দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে খেতে আসেন। তাদের ব্যবসা শুরু হয়েছে মাত্র ৪-৫ বছর। এরমধ্যেই ঢাকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই পরিচিতি পেয়েছে যাইতুন বিরিয়ানি হাউজ।
৩. রয়েল রেস্টুরেন্ট
লালবাগের একটি জনপ্রিয় খাবারের জায়গা রয়েল রেস্টুরেন্ট। বিশেষ করে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য। এখানে বিরিয়ানি, কাবাব, এবং অন্যান্য স্থানীয় ও দক্ষিণ এশীয় খাবারের মেনু পাওয়া যায়। স্থানীয়দের মতে, রেস্টুরেন্টটির খাবারের মান ও স্বাদ ভাল। এখানে দামটা একটু বেশি। ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি ভালো খাবার পাওয়া যায়।
এটি আধুনিক রেস্টুরেন্টের রূপ নিয়েছে। তবে তাদের ঐতিহ্য অনেকটা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এখানকার বেশ জনপ্রিয় হলো পেস্তা বাদামের শরবত। এই শরবত খাওয়ার জন্য হলেও অন্তত েএকবার আসতে পারেন। রেস্টুরেন্টটি পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
এছাড়াও পুরান ঢাকায় আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান রয়েছে। যেগুলোতেও েমোটামুটি কম খরচে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়।
এমএম