ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভারতে বিয়ের মঞ্চেই কনেকে বিজেপির সদস্য করলেন এক নেতা!

প্রকাশিত: ২২:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:১২, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে বিয়ের মঞ্চেই কনেকে বিজেপির সদস্য করলেন এক নেতা!

নভেম্বরের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ করতে হলে রাজ্য নেতাদের এখনই সক্রিয় হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই লক্ষ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিদিন বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সদস্য সংগ্রহ করছেন। দলের দাবি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ অন্যান্য নেতা, সাংসদ ও বিধায়কও নতুন সদস্য সংগ্রহে নিরলস পরিশ্রম করছেন।এই পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শমীক ভট্টাচার্য একটি ব্যতিক্রমী নজির গড়েছেন। শনিবার রাতে একটি বিয়েতে যোগ দিয়ে তিনি বরং নয়, সরাসরি কনেকেই বিজেপির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন!

শনিবার শমীক কয়েকজন দলীয় কর্মীকে নিয়ে কামারহাটির এক পরিচিত পরিবারের বিয়েতে উপস্থিত হন। কনেকে উপহার দেওয়ার প্রক্রিয়াই বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অংশ হয়ে ওঠে।শমীকের সঙ্গে থাকা এক কর্মী জানান, ‘‘উপহার দেওয়ার পরে কনে নিজেই জানান যে তিনি বিজেপির সদস্য হয়ে শমীকদাকে রিটার্ন গিফ্‌ট দিতে চান। এরপর ঘটনাটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে।’’ কনে সঙ্গে ফোন না রাখায় সমস্যার সৃষ্টি হয়, কারণ বিজেপির সদস্য হতে গেলে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিস্‌ড কল দিতে হয়। কনের বাড়ির লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল ফোন এনে দেন, এবং শমীক নিজে তাকে মিস্‌ড কল দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেন।এ বিষয়ে শমীক বলেন, ‘‘বাংলা নয়, গোটা দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। এটি এখন আমাদের প্রধান ব্রত। তাই যেকোনো অনুষ্ঠান বা জমায়েতে সদস্য সংগ্রহ করতেই হবে।’’ বিজেপির আরেক নেতা বলেন, ‘‘শনিবার শমীকদার কাজ দলের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। এটি দেখায়, সংকোচ না করে মানুষের কাছে সদস্যপদের আবেদন জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনেক মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে চান। আমাদের শুধু তাদের কাছে পৌঁছতে হবে।’’শমীক আরও জানান, কনে সদস্যপদ নেওয়ার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর ফলে বিয়েবাড়িতেই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসাতে হয়। শমীকের সঙ্গে থাকা কর্মীরা সেই ক্যাম্প পরিচালনা করেন এবং প্রায় ২০ জন নতুন সদস্য সংগ্রহ করেন। এক বিজেপি কর্মী আফসোসের সুরে বলেন, ‘‘বিয়ে দেরি করে শুরু হওয়ায় বরযাত্রী অনেক রাত করে আসে। আমরা যদি আর একটু থাকতে পারতাম, তাহলে হয়তো আরও অনেক সদস্য সংগ্রহ করতে পারতাম।’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

নাহিদা

×