প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল চললেও, শীতের পূর্বাভাসের আমেজ জনজীবনে শুরু হয়েছে। শীতের পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি যেমন রুক্ষ হয়ে যায়, তেমনি রুক্ষতার প্রভাব পরে ত্বকেও। প্রাথমিক ধাপ শুরু হয় পায়ের গোড়ালি ফাটল দিয়ে। এই ফাটলের জন্য দায়ী হিসেবে শীতের রুক্ষতা, পায়ের গোড়ালি নোংরা থাকা, বাতাসের আর্দ্রতা, খালি পায়ে হাঁটাসহ বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। এটি শুধু কষ্টদায়ক নয় বরং শারীরিক ফ্যাশনও নষ্ট করে থাকে। তাই সুরক্ষার দিক থেকে পায়ের গোড়ালির যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যকীয়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে পায়ের গোড়ালি ভালো রাখার কিছু উপায়
স্ক্র্যাবিং: গোড়ালি ফাটা রোধে প্রথমেই পা পরিষ্কার ও নরম রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে স্ক্র্যাবিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। স্ক্র্যাবিংয়ের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ আর লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১০-১৫ মিনিট। এই মিশ্রণটি পায়ে জমে থাকা ময়লা দূর করতে ও পায়ের ত্বক নরম করতে সাহায্য করে। এরপর একটি ঝামা বা পিউমিস পাথর দিয়ে গোড়ালি আস্তে ধীরে ঘষে মৃত চামড়া তুলে নিয়ে পা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিবার পা পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের একটি উত্তম সময়। এতে দীর্ঘ সময় পা ময়েশ্চারাইজিং হতে থাকে। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভেজেটেবল অয়েল, গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। ভালো ফল পেতে ময়েশ্চারাইজারের সাথে আরও দুই/একটি উপাদান যোগ করে প্যাক বানিয়ে ফেলুন।
গ্লিসারিন : গ্লিসারিন ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘ সময় ধরে রেখে পা নরম হতে সাহায্য করে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে মালিশ করুন ২-৩ মিনিট।
ভেজিটেবল অয়েল : গোড়ালির মৃত চামড়া দূর করে গোড়ালির সজীবতা আনতে অয়েল ম্যাসাজ একটি কার্যকর পদ্ধতি। নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল কুসুম গরম করে ম্যাসাজ করুন। সুতির মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকাল থেকে রাত অব্দি পা মোলায়েম রাখতে এটি সাহায্য করবে।
পেঁয়াজের রস : পায়ের গোড়ালির ফাটা ঠেকাতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে ফাটা স্থানে লাগিয়ে নিন। এটি ফাটা কমিয়ে পা মসৃণ করবে।